• মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরার শীর্ষ মাদক স¤্রাট লতিফ ধোরা ছোঁয়ার বাইরে কন্যা পুলিশ কনস্ট্রেবল

আপডেটঃ : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

এস, কে কামরুল হাসান (সাতক্ষীরা)॥
সাতক্ষীরার সদর উত্তর কাটিয়া এলাকার শীর্ষ গাঁজা স¤্রাট আব্দুল লতিফ শ্বাষান ঘাট সংলগ্ন তার বাগান বাড়িতে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা এই গাঁজা ও ফেন্সিডিলের ব্যবসা। তার কন্যা পুলিশ কনস্ট্রেবল হওয়ায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যাবসা, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা সাতক্ষীরা মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন। এছাড়া ভোমরা সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে অবাধে আসছে মাদক। মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা, অধিক অবৈধ মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশায় ভারত থেকে চোরাই রুটে এ সকল মাদক দ্রব্য আমদানি করে থাকে। তাছাড়া ভারতীয় থ্রী-পিসের ভিতরে কৌশলে আমদানী করা হচ্ছে ফেন্সিডিল ও বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের মাদক দ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক মারাত্মক হুমকি। মাদকের ছোবলে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে বহু তাজা প্রান। অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে বহু তরুনের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জানা যায়, ভোমরার শীর্ষ চোরাকারবারী ও মাদকব্যবসায়ীরা হলেন, হুন্ডি ব্যবসায়ী পিন্টু। লক্ষীদাড়ী এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন মন্টু মিয়া, জাহিদ, আমিনুর, ঘোষপাড়া বাদলের মোড়ের মাদক স¤্রাট বাদল, দিলিপ, পুটে, জলাল, শরিফুল, মিজান, সওকাত। কুলিয়ার ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হলেন মিলন, কুলিয়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী তুহিন, আমিনুর, কানা খোকা, চাকমা, রহমান, সুজায়েত সহ কুলিয়া শ্রীরামপুর এলাকার ভৈদু। পদ্মশাখরা কোমরপুর এলাকার ইউপি মেম্বর শীর্ষ চোরাকারবারী ভারতীয় অবৈধ রেনু ও মাদক ব্যবসায়ী আলীম মেম্বর, বাশদহা এলাকার চোরাচালান ব্যবসায়ী নাজমুল, কেড়াগাছি এলাকার শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও মাদক স¤্রাট মহিদুল, ঘাট ব্যবসায়ী আজহারুল, কেড়াগাছী গাড়াখালী এলাকার জোড়া মার্ডার মামলার আসামী ইয়ার আলী মেম্বর ছাড়াও হাড়দ্দাহ, বৈকারী, কুশখালী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, চান্দুড়িয়াসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তের চোরাই পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের এক শ্রেনীর প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এবং রাতের আধারে পাচার করে থাকে হাজার হাজার ফেন্সিডিলের কার্টুন। ভোমরা সীমান্তের ঘোষপাড়া, দাসপাড়া, লক্ষীদাড়ী মোল্লাপাড়া, লেবুতলা ও খইতলী নামক চোরাই রুট দিয়ে মাদক চোরাচালানিরা ফেন্সিডিল, মদ , গাজা, হেরোইন, ইয়াবা, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও বিভিন্ন প্রকার কার্টুন ভর্তি মাদক দ্রব্যের বড় বড় চালান পাচার করে নিয়ে আসছে। তথ্য সুত্রে জানতে পারি, নদী পথে বিভিন্ন ভারতীয় কাপড়ের লটের মধ্যে করে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এই সকল মাদক আমদানী করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মাদক ব্যবসায়ীরা নদীর পানিতে রশি দিয়ে পানির নিচ দিয়েও বস্তা বস্তা ফেন্সিডিল আমদানী করছে। এই সকল অভিনব কায়দায় আমদানী করা হচ্ছে মাদক দ্রব্য এবং সরবারহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধ্বংশ করছে দেশের যুব সমাজকে। শাখরা ও হাড়দ্দা সীমান্তের বসবাসকারি লোকজন জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট, ছোলাদানা, ঘোজাডাঙ্গা ও পানিতর থেকে বাংলাদেশী মাদক চোরাচালানিরা বিজিবি সদস্যদের চোখ এড়িয়ে ও কিছু অসাধু প্রসাশনিক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবৈধ পথে পাচার করে নিয়ে আসছে মাদক দ্রব্যের বড় বড় চালান। সীমান্তের ইছামতি নদী পাড়ি দিয়ে নৌকা যোগে ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক দ্রব্যের বড় আকারের চালান পাচার হয়। মাদক দ্রব্যের চোরাচালানিরা শাখরা শ্রীরামপুর সড়ক দিয়ে কখনো বা শাখরা থেকে কোমরপুর ও কুলিয়া টু আশু মার্কেট সড়ক দিয়ে পারুলিয়া ও কালিগঞ্জ রতনপুর এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি উটতি বয়সি স্কুল কলেজের ছাত্ররা মাদকা শাক্ত হয়ে পড়ছে। এব্যাপারে রতনপুর এলাকার নাম বলতে অনইচ্ছুক এক ব্যেক্তি জানান, রতনপুর এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ী খান সবুজ ফেনসিডিল, গাজাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ। এব্যাপারে তরুন প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে মুক্ত রাখতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ