• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে করণীয়

আপডেটঃ : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশ করে মানুষের শরীরে। আবার যে এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবাণু বহন করছে না এমন সাধারণ এডিস মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে এডিস মশাটিও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সাধারণত শহর অঞ্চলের মানুষদের ডেঙ্গু জ্বরে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরে যারা আগে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা আরো বেশি থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত: তীব্র জ্বর হয় এবং শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। এছাড়া মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা থাকে। রোগী বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্ষুধামন্দায় ভোগে। জ্বর উচ্চ তাপমাত্রার হয়  (১০৫ ডিগ্রি ফারেন হাইট) এবং চার থেকে পাঁচদিন স্থায়ী হয়। জ্বর চলে গেলে গায়ে লালচে দানা দেখা দেয় যা চুলকায়। এসময় কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন-চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে রক্তপাত, রক্তবমি, মলের সাথে রক্ত, মেয়েদের বেলায় অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গুর জটিলতা হিসাবে বুকে ও পেটে পানি, জন্ডিস এমনকি কিডনি হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিত্সা নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক। যাতে কোনো জটিলতা দেখা না দেয়। জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে। সকালে ও বিকালে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। কোথাও স্বচ্ছ পানি যাতে জমে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মশা নিধনের জন্য স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই মশারীর মধ্যে রাখতে হবে। একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
লেখক: চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ