• শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

আবারো বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক টানাপোড়েন

হাসিনার বিবৃতি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহায়ক নয়

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

বেশ কিছুদিন শিথিল থাকার পর ফের বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক টানাপোড়েন। ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করায় বৃহস্পতিবার ভারতীয় হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বানোয়াট ও উসকানিমূলক’ মন্তব্যের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। আর তাতেই ফের বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক উত্তেজনা। ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে ।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভারতে পালিয়া যাওয়ার পর ফেসবুকে লাইভে একটি বক্তৃতা দিয়েছেন হাসিনা। সেই বক্তৃতায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে’ ক্ষমতা দখল করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

পতিত সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যে ফের উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িসহ সারা দেশে বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে। ভারতে অবস্থান করে হাসিনার ‘বিরূপ’ বিবৃতিগুলি সুস্থ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহায়ক নয় বলে উল্লেখ করেছে।

এদিকে ভারত মুজিবের স্মৃতি যাদুঘর ধ্বংসের ‘কঠোর নিন্দা’ জানিয়েছে। একে ‘ভাংচুর’ বলে অভিহিত করেছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রিফিংয়ে বলেছে- যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে মূল্যায়ন করে, বাংলা পরিচয়কে লালন করে, তারা এই বাড়ির গর্বিত গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত।

ভারতে অবস্থানকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ‘মিথ্যা ও উস্কানিমুলক’ বিবৃতি বন্ধ করতে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ভারতকে অবিলম্বে ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকা আরও বলেছে, শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছেন- তারা একটি ভবনকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু ইতিহাসকে নয়। কিন্তু তাদের স্মরণ রাখতে হবে, ইতিহাস তার বদলা নেয়। এটাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন- ভারত কী পদক্ষেপ নেয়, আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করবো।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিরল ঐক্য প্রদর্শন করেছে। তারা এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। এতে বিশৃংখলা বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দেশে ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ