• শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

পিনাকী বিজনেস আইডিয়া দিলেন উদ্যোক্তাদের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জন্য কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া দেন তিনি।

পোস্টে পিনাকী লেখেন, কয়েকটা বিজনেস আইডিয়া দেই। আমি বাংলাদেশে একজন উদ্যোক্তা ছিলাম ছোটখাটো। ছোটখাটো বলাটাও ঠিক না, মাসে টার্নওভার ছিলো তিন কোটি টাকা। আমার মুল প্রবলেম ছিলো একাউন্টিং। টাকা চুরির এক মোক্ষম জায়গা। চুরিটা নিজে আইডেন্টিফাই করেও চুপ করে থাকতে হতো। নিজের হাতে করা সম্ভব না, প্রচুর টাইম লাগে। কিন্তু ছোট বা মাঝারি ব্যবসার জন্য এই একাউন্টিং উদ্যোক্তাদের নিজেদের হাতে রাখা উচিৎ।

সব ছোট বা মাঝারি ব্যবসার জন্যই এইটা একটা সমস্যা। এই সমস্যার একটা ইনোভেটিভ সলিউশন বের করা যায়।

তিনি লেখেন, বাংলাদেশে অনলাইন অ্যাকাউন্টিং সার্ভিস চালু করা যায়। এটা হবে একটা ক্লাউড বেসড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে। অনলাইনে আর্থিক তথ্য অ্যাক্সেস ও পরিচালনা করতে পারবে। এর ফলে ব্যয়বহুল অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার বা পূর্ণকালীন অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগের প্রয়োজন হয় না, ফলে খরচ কমবে। বিলিং, ইনভয়েসিং, এবং রিপোর্টিংয়ের মতো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে, ফলে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়। ডেটা সুরক্ষাও হবে। চাইলে একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে সিস্টেমে কাজ করতে পারবে।

ব্যাংক একাউন্টের সাথে ইন্টিগ্রেশন থাকবে। প্রত্যেকটা এক্সপেন্সের জাস্টিফিকেশন, ভাউচার আপনি যুক্ত করে দেবেন ডিজিটালি। অটোমেটিক ব্যলান্স শিট, ইনকাম স্টেটমেন্ট, ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট, পে রোল রিপোর্ট, ট্যাক্স রিপোর্ট এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন।

একাউন্টের কন্ট্রোল পুরোটা আপনার হাতে থাকলো। আপনি হাইলি স্পেসালাইজড সার্ভিস পেলেন। কোথাও ভুল হলে তারাই ধরিয়ে দেবে। ট্রান্সপারেন্ট, ঝুঁকিবিহীন, চুরির আশংকামুক্ত একাউন্টিং পেলেন। শেষমেশ মনের শান্তি পেলেন।

তিনি আরও লেখেন, একইভাবে এইচ আর সার্ভিস চালু করা যায়। আরেকটা ঝামেলার কাজ হচ্ছে পেটি ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট। এটার জন্যও অনলাইন সার্ভিস চালু করা যায়। আপনি ওয়ার্ক অর্ডার দেবেন, পেটি ক্যাশ দিয়ে দেবে থার্ড পার্টি। সে আপনাকে মাস শেষে বিল দেবে একটা সার্ভিস চার্জের মার্জিন ধরে৷ খুব ছোট বিল নিয়ে আপনাকে ডিল করতে হলো না। আপনার কাজের চাপ কমলো।

পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, আরো আইডিয়া আছে, তা হচ্ছে, ছোট বা মাঝারি ব্যবসার জন্য ব্যাংকিং সেক্টরের বাইরে শর্ট টার্ম লোন বা কল মানির ব্যবস্থা করা। খুব ইনোভেটিভ উপায়ে এই ফান্ড বা রিসোর্স জেনারেট করা যায়। আমি একটা ওয়াইল্ড আইডিয়া দেই। ধরেন আমরা নানা কারণে টাকা তুলি, বন্ধুর জন্মদিনে উপহার দেয়া, রিটায়ারমেন্টে উপহার, বিয়ের উপহার, বা কোন সামাজিক উদ্যোগ যেইখানে অনেকে একসাথে পার্টিসিপেট করে মানি পট বা টাকার ভান্ড তৈরি করবে। সেই মানি পটে, বিকাশ, বা ক্রেডিট কার্ডে বা অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার করে সবাই টাকা জমা দিবে। সেটা ব্যাংক ট্রান্সফার করে নিতে পারে সামান্য সার্ভিস চার্জ দিয়ে, বা কোন অনলাইন স্টোরের সাথে সিমলেস কানেকশন থাকতে পারে যেইখান থেকে এই মানি পট থেকে পেমেন্ট করা যাবে সরাসরি।

এর ফলে এই মানি পট কোম্পানীর হাতে সবসময়েই কিছু লিকুইড ক্যাশ থাকবে। যেটা কল মানি হিসেবে ইউজ করা যাবে।

সবশেষ তিনি লেখেন, বাংলাদেশে তো তরুণ উদ্যোক্তা আছে অনেক। ট্রাই করে দেখতে পারেন। কোনটাতেই টাকা লাগবে না বেশী। যদি আইডিয়া ক্লিক করে যায়, তাইলে আমারে গুরুদক্ষিণা দিয়েন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ