ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের (বিএমজে) এক গবেষণা বলছে, দিনে একটি সিগারেট খেলেও হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। স্ট্রোক বা মস্তিস্কে ক্ষরণের ঝুঁকিও বাড়ে ৩০ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি, ৫৭ শতাংশের মত।
গবেষকরা এখন বলছেন, ধূমপান পুরোপুরি না ছেড়ে এর মাত্রা কমিয়ে তেমন কোনো লাভ নেই।
বিএমজের গবেষণা বলছে, ‘হৃদরোগ বা স্ট্রোকের জন্য ধূমপানের নিরাপদ কোনো মাত্রা নেই।’
তবে অন্য একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন যারা ধূমপান কমিয়ে দিচ্ছেন, তাদের পক্ষে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ হয়। ধূমপানের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ক্যানসার নয়, বরঞ্চ হৃদরোগ। ধূমপানের ফলে মৃত্যুর ৪৮ শতাংশই হয় হৃদরোগ থেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে সামগ্রিকভাবে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে টিকই কিন্তু দিনে একটি থেকে পাঁচটি সিগারেট খায়, এমন মানুষের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়ছে। দিনে অন্তত ২০টি সিগারেট খান, এরকম ১০০ ধূমপায়ীর ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের সাত জনই হয় হার্ট অ্যাটাক, না হয় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের ক্যান্সার ইনিস্টিউটের অধ্যাপক অ্যালান হ্যাকশ, যিনি নতুন এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘িকিছু দেশে অতিরিক্ত ধূমপায়ীদের মধ্যে ধূমপানের মাত্রা কমানোর একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তারা মনে করছেন এতে তাদের ঝুঁকি কমছে। কিন্তু এটা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কিছুটা সত্যি হলেও, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সত্যি নয়।’
অধ্যাপক হ্যাকশ’র মতে, ক্যান্সারের চেয়ে হৃদরোগের বা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ধূমপান অনেক বেশি ঝুঁকি তৈরি করে। ধূমপান একবারে ছেড়ে দিতে হবে।
তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল এ ভিয়ার্ড বলেছেন, ধূমপান কমিয়ে দিয়ে কোনো লাভ নেই, সেটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ধূমপান ধীরে ধীরে কমিয়ে এক বর্জন করা সহজ হয়। বিবিসি বাংলা।