• রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদী থেকে মাটি উত্তোলন ॥ হুমকির মুখে সেতু

আপডেটঃ : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউয়িনের চারাবাড়ী-গোলচত্ত্বর সড়কে বাউসাইদ নন্দীপাড়া গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের পাশে ড্রেজার ও বেকু বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। ফলে বর্সা মৌসুমে ব্রিজটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ড্রামট্রাক দিয়ে মাটি আনা-নেয়ায় ওই এলাকার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, চারাবাড়ী-গোলচত্ত্বর সড়কে বাউসাইদ নন্দীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদী পাড়াপাড়ের জন্য ৬-৭ বছর আগে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই ব্রিজ দিয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন, নাগরপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৬ লক্ষাধিক লোকজন চলাচল করে থাকে। সড়কটি পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিপণ্য ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিবহনের একমাত্র ভরসা।  টাঙ্গাইল পৌরসভার কাজিপুর গ্রামের মো. শহিদ মিয়া ও কাতুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমন দীর্ঘদিন যাবত ধলেশ্বরী নদীর উপর মির্মিত ব্রিজের ১০০ গজ দক্ষিণে ড্রেজার ও বেকু বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ড্রামট্রাকে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই স্থানে মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বর্সা মৌসুমে ব্রিজটি ধসে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্রিজটি ধসে পড়লে টাঙ্গাইলের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। তারা ব্রিজের পাশে নদী থেকে মাটি উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারাবাড়ী-গোলচত্ত্বর সড়কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বাউসাইদ নন্দীপাড়া গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর ব্রিজের পাশ থেকে ২-৩ একর এলাকা জুড়ে তিনটি বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। বেকুর পাশে বসে পঞ্চগড় জেলার বেকু চালকের সহকারী একব্যক্তি মাটি কেনার রশিদ দিচ্ছে। পাশেই নদী থেকে মো. শহিদের নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।
মো. শহিদ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছি। আপনারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে জেনে নিন।
পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুসা দেওয়ান বলেন, আমরা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি এনে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকেও ম্যানেজ করেছি। আমাদের বেকু ও ড্রেজার বন্ধ করার এখতিয়ার কারো নেই। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়েও আমরা পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জিনাত জাহান বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে আগে জানতেন না। এ বিষয়ে তদন্ত করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ