সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুর্বণা নামের এক গৃহবধুর লাশ তিন মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জামালপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৃপ্তীকণা মন্ডলের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে রাজু মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে সুর্বণা খাতুনের (১৬) সাত মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুক দাবি করলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে সুর্বণাকে বাবার বাড়ীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় শশুর বাড়ীর লোকজন। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর দুজনের মধ্যে কলহ বিবাধ চলে আসছিল। হঠাৎ সাত মাস পর গত বছরের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখের রাতে রাজু মিয়ার বসত ঘরে গৃহবধু সূবর্ণা খাতুনকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুর্বণা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে । পরে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। পরে সুবর্ণার বাবা মোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে রাজু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গৃহবধু সুর্বণার ময়নাতদন্ত রির্পোট আতœহত্যা দেয় জেলা হাসপাতাল। এ রির্পোট পেয়ে সুর্বণার বাবা মোফাজ্জল হোসেন ময়নাতদন্তের রির্পোটের উপর না-রাজি দিয়ে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী ফের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৃপ্তীকনা মন্ডলের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরির্দশক রেজাউল করিম জানান, সূবর্ণা খাতুনের লাশ পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য ৯১ দিন পর আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।