রংপুর প্রতিনিধি॥
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ¯িপকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জ্ঞান ও সাহিত্য চর্চায় কাজী হায়াত মাহমুদের লেখনী ভবিষ্যত তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরনা যোগাবে। আধ্যাতিক তাঁর ছিল সরব বিচরন। তিনি ছিলেন একজন আলোকিত সত্য মানুষ।
তিনি শনিবার সকালে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) নিজ নির্বাচনী এলাকায় কবির মাজার প্রাঙ্গনে রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাধক কবি কাজী হায়াৎ মাহমুদ- এঁর মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঝাড়বিশলা হায়াতুল উলুম আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সালেক সরকার। ¯িপকার বলেন, অষ্টাদশ শতাব্দীতে তথ্য প্রযুক্তিহীন নিভৃত পল্লীতে ক্ষণজন্মা সাধক কবি হায়াতের সৃজনশীল কর্ম সমাজের নৈতিকতা বোধকে জাগ্রত করেছে। তাঁর সাহিত্য ও আধ্যাতিক কর্ম নিয়ে গবেষণা করার জন্য তরুণ প্রজন্মে প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, আধ্যাÍিক সাধক কবি হায়াত মাহমুদ ছিলেন একজন দার্শনিক। তাঁর দর্শনের প্রতিফলন আজকের এই আলোকিত ঝাড়বিশলা। এই দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার প্রতিটি প্রান্তে। ¯িপকার প্রয়াত সাধক কবি কাজী হায়াৎ মাহমুদ এর সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন এবং দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরে ¯িপকার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ -সভাপতি এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. আজিজুর রহমান রাঙ্গা, পৌর মেয়র আবু সালেহ মো: তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৩ সাল থেকে কবির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। কবির পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৬৮০ থেকে ১৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের কোন এক সময় কবি উপজেলার ঝাড়বিশলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৭৬০ থেকে ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার এই সাধক কবি ইন্তেকাল করেন।