পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ইতোমধ্যে খুলে গেছে সরকারি অফিস-আদালত। পাশাপাশি খুলেছে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। তবে ঈদের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালেও চাপ দেখা যায়নি সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে। এখনো অনেকটাই ফাঁকা সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই, নেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের গাড়ির জন্য অপেক্ষাও। মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ডগুলো যেন এখনো অনেকটা নিরব। কিছু যানবাহন চলাচল করলেও তুলনায় খুবই কম। বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকছে মহাসড়ক। তবে, তুলনামূলকভাবে রাস্তায় বেশি চলাচল করছে ব্যক্তিগত গাড়ি।
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক, বলেন, কিছু মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করলেও মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে। খুবই সীমিত পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে। বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকছে মহাসড়ক। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিকেল থেকে যান চলাচল বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে। ঘরে ফেরা মানুষের মতোই কর্মস্থলে ফেরা মানুষেরও যেন ভোগান্তি না হয় ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ এখনো সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরে এখনো মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়েনি। মাঝে মাঝে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে এই মুহূর্তে তুলনামূলক ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চলছে। তবুও ঈদ পরবর্তী যাত্রায় যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৎপর রয়েছি।
প্রসঙ্গত, এবারের ঈদযাত্রা ও ঈদ পরবর্তী যাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট সৃষ্টিকারী পার্শ্ব রাস্তাগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। ঈদ পরবর্তী যাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।