লিগ ওয়ানে রোববার রাতে মার্সেইয়ের মাঠে ২-২ ড্র ম্যাচের শুরুর দিকে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা ফেরান নেইমার। ম্যাচে পিএসজি আবার পিছিয়ে যাওয়ার পর ৮৭তম মিনিটে লালকার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। তবে এদিনসন কাভানির যোগ করা সময়ের গোলে লিগে অপরাজিতই থাকে এমেরির দল।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি যেন দর্শকদেরও লক্ষ্যবস্তু ছিলেন নেইমার। বল পেলেই তাকে দুয়ো দিয়েছে মার্সেই সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধে তো একবার কর্নার নিতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বোতল ছুড়ে মারা হয় গ্যালারি থেকে। ভেরাত্তি জানান, তার সতীর্থ অনেক্ষণ ধরে নিজেকে সামলাতে বেশ ভালো চেষ্টা করেছে।
“আমি যদি নেইমারের জায়গায় থাকতাম তাহলে তার ১৫-২০ মিনিট আগেই মেজাজ হারাতাম।”
ম্যাচে অন্য সব খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি মোট পাঁচবার ফাউলের শিকার হন নেইমার। তিন মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় হলুদকার্ড পাওয়ার সময়ও দুইবার ফাউলের শিকার হন বার্সেলোনার এই সাবেক তারকা। মেজাজ হারিয়ে লুকাস ওকাম্পোসকে ধাক্কা মেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচ শেষে পিএসজির কোচ উনাই এমেরি নেইমারসহ তারকা খেলোয়াড়দের রক্ষার দাবি তোলেন। কোচের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেন ভেরাত্তিও।
“কিছু খেলোয়াড়কে রক্ষা করা দরকার। আমি যখন বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলি তখন লিওনেল মেসিকে দ্বিতীয়বার ফাউল করলে আমি একটা হলুদ কার্ড পাই। ইউরোপে এটা এভাবেই হয়।”
“আপনি পুরো একটা ম্যাচ থেকে এরকম খেলোয়াড়দের ছিটকে দিতে পারেন না। আমি ঠিক তার পাশেই ছিলাম।…এমনকি সে তাকে স্পর্শই করেনি। রেফারি দুই মিটার দূরে ছিলেন, কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে সে ওকাম্পোসকে ফাউল করেছে। তার এই সিদ্ধান্ত আমি বুঝতে পারছি না”
লিগে ১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মৌসুমে এখন পর্যন্ত অপরাজিত পিএসজি। মোনাকো ২২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।