ঈদে পোশাকের সঙ্গে মানাবে, এমন জুতা-স্যান্ডেলের প্রতি বরাবরের মতো ঝোঁক থাকে ছেলে-মেয়ে উভয়ের। ক্রেতাদের আগ্রহ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে দোকানগুলো সাজানো হয়েছে হাল ফ্যাশনের জুতা ও স্যান্ডেলে।
প্রতিবারের মতো মেয়েদের ফ্যাশন আর পছন্দের দিকে লক্ষ্য রেখে অধিকাংশ জুতার ডিজাইনে আনা হয়েছে ভিন্নতা। মেয়েদের জুতার ক্ষেত্রে ক্ল্যাসিক ফ্যাশনের অংশ হিসেবে ফ্ল্যাট বা চটি স্যান্ডেল এখন ট্রেন্ডি। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, জিনস বা স্কার্টের সঙ্গে এ ধরনের জুতা বেশ মানানসই।
রাজধানীর এক বিপণি বিতানে জুতা কিনতে আসা একজন বলেন, স্লিপারের মধ্যে কিছু পছন্দ করছি। কারণ, স্লিপার পরতে আরাম লাগে। আরেক নারী ক্রেতা বলেন, মেয়েদের জন্য রাফ ইউজের ক্ষেত্রে স্লিপার একটু কমফোর্টেবল হয়। যারা অফিস করে, তাদের জন্য স্লিপারই ঠিক আছে।
বেশির ভাগ কোম্পানি ক্রেতার রুচি ও চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে হরেক রকম ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে সাজিয়েছে শোরুম। যেখান থেকে রুচি ও পছন্দসই জুতা সহজেই কিনতে পারছেন সব বয়সী নারীরা। এক দোকানের বিক্রেতা বলছেন, পার্টিওয়্যার থেকে শুরু করে ঈদের জন্য ফেস্টিভ কালেকশনের এবার চাহিদা রয়েছে। আর কিছু জুতা রয়েছে, যেগুলো কমফোর্ট ও ফ্যাশনের দিকে লক্ষ্য রেখে আনা হয়েছে। এগুলো থেকে তারা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তবে যারা উচ্চতায় খানিকটা কম, তাদের জন্য রয়েছে হিল জুতা। ফ্যাশনের দিকে খেয়াল রেখে জুতার ব্র্যান্ডগুলো তৈরি করছে কাপড়ের জুতা। ছোট-বড় বুনন আর কাঁথার ফোঁড়ের সমন্বয়ে তৈরি জুতাগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন। উৎসবের কথা মাথায় রেখে জুতার রঙে রয়েছে বৈচিত্র্য।
জুতা কিনতে আসা আরেকজন বলেন, আমি একটু শর্ট। তাই হাই হিল পছন্দ করি। সেটার ক্ষেত্রে আমি বেসিক্যালি খেয়াল করি, একটু লাইট ওয়েট। আরেকজন বলেন, সব জায়গায় ঘুরতে যেতে হবে। হ্যাংআউট বা ফ্যামিলি প্রোগ্রামের কথা মাথায় রেখে সর্বদা কমফোর্টেবল জুতা প্রিফার করি।
আরেকজন ক্রেতার মুখে সন্তুষ্টির ছাপ দেখা গেছে। তিনি বলেন, এবার কালেকশনগুলো ভালো এসেছে। আমি ম্যারি ক্লেয়ারের জুতাগুলো স্পেশালি পছন্দ করেছি। আরেকজন বলেন, একটু সফিস্টিকেটেড কালারের জুতা খুঁজছি এবার।
এবার কালো বা চকলেট রঙের জুতার পরিবর্তে হালকা শাইনি বা অ্যান্টিক রঙের জুতা বেশি চলছে বলে জানা গেছে।