• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

শরীরের ওজন কমানো জন্য খাওয়া কি ঝুঁকিমুক্ত? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

শরীরের ওজন বেশি থাকাটা মোটেই কাজের কথা নয়। এর থেকে বাড়ে নানা রোগের আশঙ্কা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই সমস্যা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, ওজন বেশি বা ওবেসিটি হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এক্ষেত্রে কিছু মানুষ ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে থাকেন। এটা কার্যকরী। এর ফলে দ্রুত কমে ওজন। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার ওজন বেশি?

চিকিৎসকদের কথায়, কোনো মানুষের উচ্চতা মাপতে হবে সেন্টিমিটারে। তারপর তার থেকে বিয়োগ করুন ১০০। যা থাকবে সেটাই হলো আপনার আদর্শ ওজন। আপনার উচ্চতা যদি ১৭০ সেমি হয়, তার থেকে ১০০ বিয়োগ করলে থাকে ৭০। এবার এর থেকে প্লাস মাইনাস ৫ রাখতে হবে। অর্থাৎ ৭৫-এর বেশি ওজন হলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে।

কখন ওজন কমানোর ওষুধ দেয়া হয়?

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথমে ওষুধ দেয়া হয় না। সাধারণ খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়। এরপরও ওজন খুব একটা বেশি না কমলে ওজন কমানোর ওষুধ দেয়া হয়। একজন চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নেন, কখন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, কখন নয়।

কী ধরনের ওষুধ দেয়া হয়?

একধরনের ওষুধ রয়েছে যা ফ্যাট শোষণে বাধা দেয়। সেই ফ্যাট লস ওষুধ খেলে মলদ্বার দিয়ে বেরতে থাকে ফ্যাট। এছাড়া একধরনের ওষুধ আছে যা মস্তিষ্কে খিদে পাওয়ার জায়গার উপর কাজ করে। এক্ষেত্রে মানুষের খিদে কম পায়। আর কম খাওযার ফলে কমে ওজন।

এই ওষুধে এক বছরে কমতে পারে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ ওজন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওজন কমানোর ওষুধ কোনো ভাবেই খাওয়া যাবে না।

ওজন কমানোর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী?

এক্ষেত্রে ফ্যাট মলদ্বার দিয়ে সারাদিন বেরতে পারে। বমি পেতে পারে, বমি হতেও পারে। খিদে কমে যায়। ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শরীরে শোষিত হয় না। এটাই হলো সমস্যা।

ওজন কমাতে ডায়েট ও ব্যায়াম

ওজন কমাতে ওষুধের পাশাপাশি আপনাকে কম ক্যালোরি খেতে হবে। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো ৮০০ ক্যালোরি খেতে হয় গোটা দিনে। এছাড়া ব্যায়াম করতে হবে মোটামুটি ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। এভাবেই কমবে ওজন। তাই চিন্তা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ