• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
৩৪০ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রহস্যময় ড্রোনের দেখা মিলল ব্রিটেনের তিন মার্কিন বিমানঘাঁটির আকাশে নানা আলোচনা মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস ঘিরে সড়ক অবরোধ করে আজও রিকশাচালকরা বিক্ষোভ করছেন পাচার করা অর্থ ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে ফেরত আনা সম্ভব হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যয় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হামলা ও ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপ সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজ, পরীক্ষা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের মৃত্যু বৈধপথে ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

প্রাথমিক বাংলা

মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

পদ-প্রকরণ

প্রশ্ন : পদ কাকে বলে ? পদের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর।

পদের সংজ্ঞা : বাক্যে ব্যবহূত প্রত্যেকটি শব্দকেই পদ বলে।

অথবা, বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে।

 

পদ সাধারণত পাঁচ প্রকারের। যেমন —

ক. বিশেষ্য পদ : যে পদ দ্বারা কোনো কিছুর নামকে বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন : রবীন্দ্রনাথ, ঢাকা, সোনা প্রভৃতি।

খ. বিশেষণ পদ : যে পদ বিশেষ্য বা অন্য পদকে বিশেষিত করে, অর্থাত্ তার গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন : শ্রেষ্ঠ, ভালো, পবিত্র প্রভৃতি।

গ. সর্বনাম পদ : বিশেষ্যের পরিবর্তে অর্থাত্ নামের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহূত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন : সে, তারা, তোমরা প্রভৃতি।

ঘ. অব্যয় পদ : যে পদের কোনো পরিবর্তন ঘটে না অন্যভাবে, যে পদের কোনো ব্যয় হয় না তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন : এবং, ও, সুতরাং প্রভৃতি।

ঙ. ক্রিয়া পদ : বাক্যের অন্তর্গত যে পদ কোনো কাজ প্রকাশ করে অর্থাত্ করা, খাওয়া, হওয়া, থাকা, যাওয়া প্রভৃতি বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন : খায়, যায়, করে প্রভৃতি।

 

প্রশ্ন : বিশেষ্য পদ কাকে বলে ? বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর।

বিশেষ্য পদের সংজ্ঞা : যে পদ দ্বারা কোনো কিছুর নামকে বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।

বিশেষ্য পদ ছয় প্রকারের। যেমন —

ক. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, নদী, সমুদ্র, পর্বত, গ্রন্থ ইত্যাদির নির্দিষ্ট নাম বোঝায় তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলে। একে নামবাচক বিশেষ্যও বলা হয়। যেমন : নজরুল, যশোর, পদ্মা প্রভৃতি।

খ. জাতিবাচক বিশেষ্য :যে বিশেষ্য পদ নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু, বা স্থান ইত্যাদির নাম না বুঝিয়ে সে সবের সাধারণ নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : মানুষ, গরু, পাখি প্রভৃতি।

গ. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা একজাতীয় ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : জনতা, দল, পাল প্রভৃতি।

ঘ. বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ কোনো বস্তু বা দ্রব্যের নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। একে দ্রব্য বা পরিমাণবাচক বিশেষ্যও বলা হয়। যেমন : চাল, চিনি, ডাল প্রভৃতি।

ঙ. গুণবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ কোনো ব্যক্তি, স্থান, বস্তু বা দ্রব্যের দোষ, গুণ, বা অবস্থা বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : সৌন্দর্য, কার্পণ্য, সৌরভ প্রভৃতি।

চ. ভাববাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদ কোনো ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ করে তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। একে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যও বলা হয়। যেমন : শয়ন, দর্শন, গমন প্রভৃতি।

 

প্রশ্ন : বিশেষণ পদ কাকে বলে ? বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর।

বিশেষণ পদের সংজ্ঞা : যে পদ বিশেষ্য বা অন্য পদকে বিশেষিত করে, অর্থাত্ তার গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে।

বিশেষণ পদ দুই প্রকারের। যেমন —

ক. নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করা হয় তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন : লাল ফুল,গরম চা, হাজার টাকা প্রভৃতি।

খ. ভাব বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম ছাড়া অন্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রকাশ করে তাকে ভাব বিশেষণ বলে। যেমন : ধীরে চলো, সামান্য একটু দুধ দাও প্রভৃতি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ