• বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

পার হওয়ার সময় সাঁকোতে সন্তান প্রসব করলেন প্রসূতি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বাঁশ ও কাঠের ভাঙা সাঁকো হেঁটে পার হওয়ার সময় সাঁকোর মাঝেই সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের সবুজপাড়ায় কদমতলী খালের ওপর থাকা সাঁকোতে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তান প্রসব করা ওই নারীর নাম বিলকিছ বেগম। তার স্বামীর নাম সাইজ উদ্দিন।

স্থানীয়রা জানান, এটি বিলকিছ বেগমের প্রথম কন্যা সন্তান। বিলকিছের স্বামীর বাড়ি রৌমারী উপজেলার যাদুরচর গ্রামে। তিনি সন্তান সম্ভবা হওয়ায় কয়েক দিন আগে রৌমারী সদর ইউনিয়নের শুতির পাড়ে তার বাবা আহমদের বাড়িতে আসেন। শনিবার দুপুরে বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার প্রসব বেদনা শুরু হলে কযেকজন মিলে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিচ্ছিল। কিন্তু সাঁকোটি ভাঙ্গা থাকায় সাঁকোর ওপর কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ কারণে বিলকিছ বেগমকে নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছিলেন তার আত্মীয়সহ কয়েকজন নারী। পরে সাঁকোর মাঝামাঝি আসার সময় প্রসব বেদনা তীব্র হলে সাঁকোর ওপর শুয়ে পড়েন বিলকিছ বেগম। পড়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সাঁকোর ওপরই তার সন্তান প্রসব হয়।

বিলকিছের বাবা আহমদ আলী বলেন, যাদুর চরে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। সে সন্তান সম্ভবা হওয়ায় তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে রেখেছিলাম। মেয়ের প্রসব বেদনা ওঠায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাঁকোর ওপর মেয়ে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক সাঁকোর ওপর সন্তান প্রসবের ঘটনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন। পড়ে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলশ্রুতিতে এ ঘটনা। আমরা চাই দ্রুত এখানে সেতু নির্মাণ করা হোক। তাহলে প্রসূতি মা বা অসুস্থ রোগীরা গাড়িতে করে হাসপাতালে যেতে পারবে।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুজাউল সুজা জানান, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনা শোনার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গেছি। এই সাঁকো দিয়ে পার্শ্ববর্তী বহু মানুষ চলাচল করলেও সেতু নির্মাণ করা হয়নি। আমরা চাই দ্রুত সাঁকোর জায়গায সেতু নির্মাণ করা হোক।

শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমি খবর পাওয়ার পর বিলকিছ বেগম ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে দেখতে গিয়েছি। এই ভাঙ্গা সাঁকোর কারণে তাকে সাঁকোয় সন্তান প্রসব করতে হয়েছে। আমি সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে যোগাযোগ করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ