শুক্রবার ৪ এপ্রিল ২০২৫, মানিকগঞ্জের পুটাইল ইউনিয়নের একটি বাঁশবাগানের ভেতর পাওয়া একটি কার্টনের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো ছিল এক নারীর মরদেহ। মরদেহ পচন ধরে ফুলে ওঠায় মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে ও থ্যাতলানো দেখায় যা পরিচয় শনাক্ত করতে পারছিল না মৃত নারীর পরিচয়। ওই মরদেহ ঘিরে তৈরি হয় চরম রহস্য। শেষ পর্যন্ত সিআইডির প্রযুক্তিনির্ভর অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয় তরুণীর পরিচয়।
গত ৪ এপ্রিল ২০২৫ সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয়রা বাঁশবাগানে ফেলে রাখা একটি বড় কার্টন থেকে রক্ত ঝরতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে জানায়। পরে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
কার্টন খুলে তারা একটি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে, যা পরিচয়বিহীন এবং পরিচয় শনাক্তের জন্য কোনো দৃশ্যমান ক্লু ছিল না। তদন্তের অংশ হিসেবে সিআইডি প্রথমে ডিজিটাল ডিভাইসে আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেজে মিলিয়ে দেখে, তবে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। পরে সংস্থাটি উন্নত বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি VFAN (VeriFinger Automated Name search) ব্যবহার করে ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
প্রযুক্তিনির্ভর এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত তরুণীর নাম বিউটি গোস্বামী (৩৮), বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দলগ্রামে। সিআইডির এই দ্রুত ও পেশাদার তদন্তে আপাত ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।