• সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

সিরাজদিখানে সাংবাদিকের ওপর হামলা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

আনিসুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত ২ এ সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুসরাত শারমিন এর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি ওই আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী (পেসকার) ফরিদ হোসেন নিশ্চত করেছেন।

 জানাগেছে, উপজেলার রসুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান এর ছেলে শাহজালাল খান কবিরাজ দির্ঘ দিন যাবৎ কবিরাজী চিকিৎসা ও জ্বীন ছাড়ানোর নামে বিভিন্ন অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এছাড়া নারীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার নামে নারীদের নিয়ে নাচ গানের বিভিন্ন ভিডিও চিত্র তার বিরুদ্ধে ভাইরাল হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনা নিয়ে ভূক্তভোগী সাংবাদিকসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন সংবাদ পত্রে নিউজ প্রকাশ করলে বুধবার সন্ধা ৬টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা হতে বাড়িতে ফেরার পথে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে শাহজালাল কবিরাজসহ আরো কয়েকজন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, আমি শাহ জালাল কবিরাজের অপকর্ম নিয়ে অনেকগুলো নিউজ করেছি। নিউজ করায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার আমি সিরাজদিখানে নিমতলায় একটি নিউজ করতে যাই। তার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে শাহজালাল পান কবিরাজসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। শাহজালাল আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছি।
স্থাণীয়রা বলেন, পান কবিরাজ আগে পল্লি বিদুৎতের লাইনম্যান ছিল। সে মিটার দেওয়ার কথা বলে অনেকের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। পরে হঠাৎ করে সে কবিরাজ বনে গিয়ে নারীদের বাড়িতে রেখে নাচগান করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এর আগে সে পবিত্র কোরআন ছুড়ে ফেলায় তার আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হলেও সে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় আবার আস্তানা গেড়ে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন। এর আগে সিরাজদিখান থানা পুলিশকে পান কবিরাজ একটি ল্যাপটপ দিয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে শাহাজালাল কবিরাজ বলেন, আমি নারীদের নিয়ে নাচগান করে অপচিকিৎসা দেইনা দুই নাম্বার চিকিৎসা করিনা এবং কোন সাংবাদিকেও মারধর করিনাই। থানায় ল্যাপটপ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে সার্কেল এসপি একটি ল্যাপটপ দাবী করেছিলো তাই আমি তাকে উপহার দিছি আমার থানায় দিছি। আমি সামনে চেয়ারম্যান নির্বাচন করমু তাই আমি দিছি।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন,আমার থানা ৫ আগষ্টে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পান কবিরাজ থানায় একটি ল্যাপটপ নিয়ে আসে। আমিতো জানিনা সে পান কবিরাজ আগে তাকে চিনতাম না। সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সিরাজ দিখানের ইউএনও ওসিকে অবগত করলে ও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ