• শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ঠাঁই হবে না

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ভারত বা পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ঠাঁই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকারের পতন করে আরেকটি সরকারকে বসানোর জন্যই ঘটেনি। জনগণ বরং রাষ্ট্র জেঁকে বসা একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সারা দিয়েছিল। যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক এবং মর্যাদাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপি’র ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল। আমরা মনে করি ২৪ এর জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে।

নাহিদ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে দুর্বল করে রাখার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, আমরা তা ভেঙে দিয়েছি। বাংলাদেশকে আর কখনো বিভাজিত করা যাবে না। বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির কোনো ঠাঁই হবে না।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই যেখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবার তন্ত্রের বদলে মেধা মানদণ্ডের প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।

‘আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। আমাদের রিপাবলিকেশনে সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার উৎস। তাদের সব ধরনের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের সুরক্ষাই হবে আমাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র।

‘রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে সমান গুরুত্ব প্রদান ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে’—বলেন নাহিদ ইসলাম।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বিকেল সোয়া চারটার পর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এই অনুষ্ঠান ঘিরে দুপুর থেকে ছোট ছোট মিছিলে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। জুমার পর বাড়তে থাকে মিছিলের স্রোত। এক পর্যায়ে তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ