মারধরের ঘটনায় চাঁদপুর জেলা শাখার অধীনস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কারীকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ওই নেতাকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানায় এবং বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি থানায় গিয়ে কথা বলবো। আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’। আজ বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলা শাখার অধীনস্থ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কারীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই এলাকার একটি দোকানের সামনে মারামারির পর ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানা পুলিশের একটি দল। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কারীর থানায় নিয়ে যেতে চান তারা। এক পর্যায়ে উপস্থিত পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসময় তাকে ফোনে বলতে শোনা যায়, ‘এ ঘটনায় যে মারধর করছে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। তাকে আমি অনুরোধ করে বলেছি, আমাদের সঙ্গে থানায় যেতে। কিন্তু সে কথা শোনেনি।’
এসময় ওই নেতা মোবাইলে ওসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দেননি। পরে এসআই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিকে গাড়ি উঠতে বললে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘আমি থানায় গিয়ে কথা বলবো, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’।