ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধস নামিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। টাকা পাচার করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যায়। সেই ঘাটতি পূরণে এখনো লড়াই করছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। তবে প্রশ্ন হলো- অর্থ পাচার বন্ধ থাকার পরও কেন গত সাত মাসে বাড়েনি রিজার্ভ?
সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন তার টক শোতে এমন প্রশ্ন করেছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে। যার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি অর্থ উপদেষ্টা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে।
এবার এই ইস্যুতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন আসিফ নজরুল। যেখানে খালেদ মহিউদ্দিনের সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অবশ্য পোস্টটি তার নিজের নয়। ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলনের পোস্টটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে পাওয়া গেছে চারটি উত্তর।
পোস্টে লেখা হয়েছে, সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন সাহেব অর্থ উপদেষ্টা সাহেবকে তিনবার একটি প্রশ্ন করলেন। প্রশ্নটি হলো গত সাত মাসে টাকা পাচার বন্ধ থাকার পরেও রিজার্ভ কেন বাড়ছে না? তিনি একবারও এই সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তরটা দিতে পারেননি। অথচ তিনি এবং গভর্নর সাহেব মিলে অসাধারণ কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সম্ভবত মরহুম সাইফুর রহমান সাহেবের পরে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সবচাইতে যোগ্য লোকদের হাতে। উত্তরটা হওয়া উচিত ছিলো:
ক: জমে থাকা অনেক বিদেশি ঋণ এবং সুদ পরিশোধ করা হয়েছে।
খ: এলসি খোলার ওপর যে রেস্ট্রিকশন ছিলো তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে; যার ফলে বিজনেসম্যান, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছেন কোনো বাধা ছাড়াই।
গ: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকার নিজে অনেক পণ্য আমদানি করছে।
ঘ: আকুর সকল দেনা নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে।
পরিশেষে তিনি লিখেছেন, এই প্রধান চার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে না কিন্তু স্টেবল আছে বিশ বিলিয়ন ডলারে। প্রত্যেকেই সঠিকভাবে নিজের কেস নিজে মেক আউট করা উচিত যেন কেউ নেশনকে মিসলিড করতে না পারে।