• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

জ্বলছে গাজা মিসাইলের আঘাতে মানুষ উড়ছে আকাশে! ইসরায়েলি নৃশংসতার ভিডিও ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

গাজা জ্বলছে, গাজা পুড়ছে, নিঃশ্বেষ হয়ে যাচ্ছে। একের পর ইসরায়েলি মিসাইলের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। সম্প্রতি বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে যেখানে দেখা যায়, মিসাইলের আঘাতে মানুষ ১০-১৫ তলারও বেশি উচ্চতায় উঠে আবার নিচে পড়ে যাচ্ছে। এ যেনো ছাড়িয়ে গেছে আধুনিক বিশ্বের সকল বর্বরতাকে। কোথায় আজ মানবাধিকারের কথা বলে গলা ফাটানো সংস্থাগুলো? কোথায় আজ মানবিকতা? কোথায় আজ বিবেক? ঠিক এই প্রশ্নগুলোই সামাজিক মাধ্যমজুড়ে ছেয়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিও চিত্র দেখে কাঁদছে প্রতিটি মুসলমানের অন্তর। দখলদার ইহুদি ইসরায়েল এর নৃশংসতার শেষ কোথায়? জানা নেই কারোরই। ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্র দেখে অনেকেই নিশ্চিত করেছে এই ক্ষেপনাস্ত্র গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া। পশ্চিমা বিশ্ব যেনো এক হয়েছে ফিলিস্তিনকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে। আর মুসলিম দেশগুলো বসে বসে আঙ্গুল চুষছে, ঠিক এমনটিই লিখেছেন প্রীতি রহমান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী।

গাজার এই ভয়াবহ চিত্র দেখে শুধু যে মুসলিমদের হৃদয় ব্যথিত হচ্ছে তা নয় ভিন্নধর্মীরাও আজ ব্যথিত ইসরায়েলের স্বরণকালের সবচেয়ে বড় এই নৃশংসতায়। কারো কারো মতে ওরা মানুষ নয়, জীবন্ত কোন জন্তু জানোয়ার কিংবা হিংস্র কোন পশু। দিপ্তি সাহা নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গাজা উপত্যকাকে নিঃচিহ্ন করে দিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল, আর নির্লজ্জ বেহায়ার মত তাকিয়ে দেখছে অন্য দেশগুলো।’ ফেসবুক পোষ্টে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হিংস্র জানোয়ারের সাথেও তুলনা করেন কেউ কেউ। সুইটি কুমারি নামের এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘নেতানিয়াহু কোন মানুষের বাচ্চা হতে পারে না, সে মানুষ হলে এভাবে অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে মিসাইল ছুড়তে পারতো না।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এর স্ক্রিনসট পোষ্ট করে ফেসবুকে সোহেল মিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে উড়ে উড়ে তারা জান্নাতে চলে যাচ্ছে।’ এদিকে ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৬০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছে। যদিও সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে ইতিমধ্যে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ