• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র ফের ইসরাইলকে ‘থাড’ দিল

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে দ্বিতীয় ‘থাড’ (অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা) দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আল-হাদাত চ্যানেলের বরাতে এক প্রতিবেদনে রোববার (৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

থাড গতকালই (৫ এপ্রিল) সরবরাহ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো দেখিয়েছে, মার্কিন বিমান বাহিনীর বৃহত্তম পরিবহণ বিমান, একটি আমেরিকান সি-ফাইভএম সুপার গ্যালাক্সি, দক্ষিণ ইসরাইলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে এবং আবার উড্ডয়নের আগে প্রায় আট ঘন্টা সেখানে অবস্থান করে।

থাড বা টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম, একটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা। ইসরাইলে মোতায়েন করা থাড সিস্টেমটি ইয়েমেনের হুথিদের ইসরাইলে নিক্ষেপ করা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়েছে।

গত বছর প্রথম থাড ব্যাটারি ইসরাইলে পাঠানো হয় এবং সিস্টেমটি পরিচালনার জন্য প্রায় ১০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাটারিটিকে প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের পরিপূরক বলে মনে করা হয় কিন্তু বিস্তৃত এলাকা রক্ষা করতে পারে, যা ১৫০-২০০ কিলোমিটার (৯৩-১২৪ মাইল) পরিসরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।

‘থাড’ কী?

‘থাড’ হলো একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যা স্বল্প, মাঝারি এবং মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম। এটিই একমাত্র মার্কিন সিস্টেম যা বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ও বাইরের লক্ষ্যবস্তুকে বাধা দিতে সক্ষম।

‘থাড’ কীভাবে কাজ করে?

ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরই তাদের ‘টার্মিনাল ফেজ’- লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগের চূড়ান্ত পর্যায়ে সেগুলোকে আটকে দিতে পারে, সেভাবে ‘থাড’কে ডিজাইন করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে (এন্ডোএটমস্ফিয়ারিক এবং এক্সোএটমস্ফিয়ারিক) উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।

এটি স্বল্প, মাঝারি এবং মধ্যবর্তী পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিতে সক্ষম। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে থাড।

‘থাড’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটিতে কোনো বিস্ফোরক ওয়ারহেড নেই। এর পরিবর্তে, এটি গতিশক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। অর্থাৎ এটি কোনো ওয়ারহেড বিস্ফোরণ না ঘটিয়েই নিজস্ব শক্তি দিয়ে আগত ক্ষেপণাস্ত্রকে আঘাত করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ