সত্যি বলতে উপস্থাপক কিংবা আরজে থেকে অভিনেতা পরিচয়টা পেতে ভাললাগে। প্রথম দুটো আমার ভালবাসা। অভিনয় আমার প্রেম। কেউ না জানুক আমি জানি, শুরু থেকে আমি অভিনেতাই হতে চেয়েছি মনে প্রাণে। খুব সম্প্রতি নিয়মিত অভিনয় করার সাহস করেছি। অনেকটা ঝুঁকির এ সিদ্ধান্ত। ভাললাগার কিছুর জন্য ঝুঁকি তো নিতেই হবে। কথাগুলো বলছিলেন তরুণ অভিনেতা, আরজে, উপস্থাপক ইভান সাইর।
নিজের কাজের ব্যাপারে সোজাসাপ্টা ইভান জানান, অবশ্য মহান আল্লাহর ইচ্ছায় এখনো পর্যন্ত পথচলা ভালই। যেটুকু সুযোগ এই অল্প সময়ে পেয়েছি, তাতে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না যে ভাল কাজ পাচ্ছি না। যে কাজগুলি করছি বা সামনে আসছে সেগুলোর ফলাফলের উপর অনেককিছু নির্ভর করছে। প্রধান চরিত্র, ভালো বাজেট এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সবকিছুই খুব অল্প সময়ে জুটে গেছে। এখন শুধু এই কাজগুলো প্রচার হবার অপেক্ষা।
ইভান বলেন ‘মানুষ এখনো আমাকে অভিনেতা হিসেবে চেনেন না। সময়ের বাস্তবতা হল আমি নিজে যতই বলি খুব ভাল ভাল কাজ করছি তাতে কোনই লাভ নেই। সবকিছু আসলে মানুষের উপর। তারা পছন্দ না করলে সবকিছুই শূন্য। ভাগ্য আমার হাতে না। আমি শুধু আমার নিজের কাজটা করে যেতে পারি। আমার সর্বোচ্চ পরিশ্রম, চেষ্টা আর সততা দিয়ে মাটি কামড়ে নিজের কাজটুকুই করে যাওয়া ছাড়া আর কোনকিছুতে বিশ্বাসও করি না।
ভাল বই পড়া, শরীরের যত্ন নেয়া, খাদ্যাভ্যাস, সময়ানুবর্তিতা ভাল অভিনেতা হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে এটাই তার ধারণা। দেশের প্রেক্ষাপটে একজন নির্মাতার জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর ইভান। এতসব কিছুর পর আসলে সময় সবকিছু বলে দিবে মানেন তিনি।
কৃতজ্ঞতা নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহর প্রতি। ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘১৭ই ডিসেম্বর’, ‘মুখোশের আড়ালে’, ‘ব্রাদার্স ২’, কিংবা ‘আমাদের গল্পটা এমনও হতে পারতো’ কাজগুলো এই নির্মাতার হাত ধরেই করেছেন ইভান। ইশতিয়াক আহমেদ এবং সঞ্জয় সমদ্দার মানুষ দুজনের প্রতি ঋণী ইভান। ‘সোফাসেট’ এবং ‘এল ক্লাসিকো লাভ’ কাজ দুটি নিয়ে অপেক্ষা তার।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী মুনিরা মিঠুর প্রতি, আত্মবিশ্বাসের পালে যিনি হাওয়া দিয়েছেন তাকে। সামনে বেশকিছু বলার মতন কাজ আসছে ইভানের। মানুষের ভালবাসা আর সহযোগিতায়, ভাল মন্দ মাথা পেতে নিয়ে, পরিশ্রমে বিশ্বাসী ইভান পরিশ্রম দিয়েই অভিনয়ে একটা জায়গা করে নিতে চান।