• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

ভূঞাপুর সাবরেজিষ্টার অফিসে কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সাব-রেজিষ্টার অফিসে কৌশলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করে বিপুল পরিমাণ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর কাজে জড়িত রয়েছে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার, নকল নবিশ, পিয়ন ও দলিল লেখকদের একটি চক্র।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই চক্রটি সরকার নির্ধারিত ও জমির প্রকৃত মুল্যের চেয়ে দলিলে কমমূল্য দেখিয়ে দলিল সম্পাদন, কান্দা শ্রেণির জমিকে নামা এবং নামা শ্রেনির জমিকে বালু মহলসহ নানা জালিয়াতী পন্থা গ্রহণ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকির এই টাকা রেজিষ্টার, নকল নবিশ, পিয়ন ও দলিল লেখকরা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। চলতি বছরে একদিনে সম্পাদন হওয়া ৩টি দলিলেই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ২শ টাকা। ২৩ জানুয়ারি সাম্পাদিত ২২৩ নং দলিলে জমির প্রকৃত মুল্য ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার স্থলে সম্পাদিত দলিলে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ২২৪ নং দলিলে জমির প্রকৃত মুল্য ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার স্থলে দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার। এছাড়াও ২২৫ নং দলিলে জমির প্রকৃত মূল্য ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্থলে ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আর এসব অনিয়ম করা হচ্ছে ভুয়া কাগজ-পত্র তৈরি করে। ভূঞাপুর মৌজার ৪৫৯ নং দাগে মাঠপর্চায় দেখা যায় জমির শ্রেণি কান্দা কিন্তু সেখানে বিক্রিত দলিলে নামা লেখা হয়েছে। এছাড়া বেতুয়া পলিশার মৌজার ১৭৩৯ দাগে মাঠপর্চায় কান্দা উল্লেখ থাকলেও সম্পাদিত ১০৫ নং দলিলে নামা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিনিয়তই ওই চক্রটি এসব অনিয়ম করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আর এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে একাধিক কর্মদিবসে অফিসে গিয়েও ভূঞাপুর সাব-রেজিষ্টার মনিষা রায়কে পাওয়া যায়নি। ছয়দিন তার অফিসে যোগাযোগ করে না পেয়ে পুণরায় গত ১৯ই মাচ তার কার্যালয়ে তাকে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে এবিষয়ে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ