• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

শরণখোলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মানাধীন পাউবোর ৪৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের শরণখোলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মানাধীন উপকূলীয় বাধ রক্ষা প্রকল্পের ৩৫/১ পোল্ডারের বগী অংশের ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়েগেছে। শনিবার ভোর থেকে গত ৪দিনে ওই পয়েন্টে প্রায় সাড়ে ৪শত মিটার এলাকা বলেশ্বর নদীতে বিলিন হয়েছে। আরো প্রায় ৫০০মিটার এলাকা জুড়ে ফাঁটল ধরা অংশ যেকোন মুর্হুতে সম্পূর্ণভাবে নদীতে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাধের ভয়াবহ ভাঙ্গনে সাউথখালী ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শরণখোলার বগী বন্দর থেকে আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত আরো প্রায় এক কিলোমিটার বাধের অন্ততঃ ১০টি পয়েন্টে বড় বড় ফাঁটল ধরেছে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বাধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নদীতে বিলিন হতে শুরু করেছে। বাধ সম্পূর্ণ বিলিন হলে সাউথখালী ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কাজ চলমান থাকার মধ্যে বাধের এমন ভবয়াবহ ভাঙ্গনে এলাকাবাসী আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কোস্টাল হেন্নান ওয়াটার ইম্প্রুভমেন্ট (সিএইচডব্লিউই) নামের চায়নার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ টেকসই বাধের কাজ বাস্তবায়ন করছে।মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে যায়, ফাদল ধরা বড় বড় খন্ড ধসে পড়ছে। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৪শত মিটার বাধ নদীতে ধসে গেছে। ওই পয়েন্টে সম্পূর্ণ বিলিন হতে সামান্য বাকি আছে। আরো প্রায় ৫০০মিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ ফাঁটল ধরেছে। এসময় বাধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী (৬০), শাহাজাহান হাওলাদার (৫৫), তাছেন উদ্দিন হাওলাদা (৭৫), আবু তালেব (৪৫) ইব্রাহিম হাওলাদার (৪৮) বলেন, শনিবার ভোর ৫টার দিকে বাধের বিশাল অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যায়। ভাঙ্গনের শব্দে বাধের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধের ভেতরের পাশেও বিশাল এলাকা নিয়ে ফাঁটল ধরেছে। ধারণ করা হচ্ছে যেকোন সময় সমস্পূর্ণ বাধ বিলিন হয়ে যাবে। এতে বগী, চালিতাবুনিয়া, খুড়িয়াখালী, দক্ষিণ সাউথখালীসহ ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুরসহ কয়েকশ’ একর ইরি ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা বলেন, টেকসই বেড়িবাধের কাজ শুরু হওয়ায় এ এলাকার মানুষ একটু স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলো। কিন্তু কাজের ধীর গতি এবং কাজের মান অত্যান্ত নি¤œমানের। তাছাড়া, নদী শাসন না করেই বাধ নির্মান করায় তা কোনো কাজে আসছে না। একদিকে নির্মান কাজ চলছে, আরেক দিক থেকে ধসে পড়ছে। শুধু নামে টেকসই বাধ আসলে কাজের কাজ কিছুইনা। বাধ টেকসই করতে হলে আগে ব্লক ডাম্পিং করে নদী শাসন করা প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তা না হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা নদী জলে ভেসে যাবে।নির্মান কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপকূলীয় বাধ রক্ষা প্রকল্পের (সিইআইপি) সুপারভেশন ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল দত্ত জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাধ পরিদর্শন করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত রিং বাধ দেওয়া জন্য বলা হয়েছে। নদী শাসনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ