ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র মোঃ সোয়েব মিয়া(১৫) নামে এক জনকে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় নিজ ঘরে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে অতœহত্যা করেছে বলে জানাগেছে। এই ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার কালামপুর গ্রামে তার নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোয়েব বাড়ী ধামরাই উপজেলার কালামপুর গ্রামের মোঃ লাল মিয়ার ছেলে বলে জানাগেছে। পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, মোঃ সোয়েব কালামপুর ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। সে প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে বাবা-মার কাছে আবদার করে একটি মোবাইল চাই। তখন বাবা লাল মিয়া বলে আমি গরিব মানুষ মোবাইল কিনার এত টাকা কোথায় পাব। তুমি ভাল করে লেখাপড়া কর আমি টাকা জোগার করে পরে মোবাইল কিনে দিব। এই কথা শুনে সোয়েব রাগ করে ঘরে যায়। বিকালে বন্ধুদের সাথে খেলা করে রাতে নিজ ঘরে শুয়ে পরে।পরে আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সবাই ডাকা ডাকি করে। কিন্তু ঘরের দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঘরে ভিতরে গিয়ে দেখে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অতœহত্যা করেছে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, সোয়েব তার নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। তিনি আর ও বলেন সোয়েব ভালুম আতাউর রহমান থান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে তার বন্ধুরা মোবাইল ব্যবহার করে সেই দেখে বাড়িতে এসে তার মা-বাবাকে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য বলে । এক পর্যায় তার মা-বাবা মোবাইল কিনে না দিলে সোয়েব রাতে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানান তিনি। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।