• বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

মানিলন্ডারিং মামলা: ৫ হুন্ডি ব্যবসায়ী ২ দিনের রিমান্ডে

আপডেটঃ : সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

মতিঝিল মডেল থানায় দায়েরকৃত মানিলন্ডারিং মামলায় ৫ হুন্ডি ব্যবসায়ীর ২ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ঢাকার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে গত ২৯ মার্চ তাজিম আনোয়ারসহ ৬ জনকে আসামি করে মতিঝিল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাজিম আনোয়ার অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি মুদ্রা বিদেশে পাচার করে, স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থসহ বিভিন্ন আমদানি রপ্তানি ব্যবসার ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে প্রেরণ করে থাকেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। শুল্ক গোয়েন্দা গত ২৮ মার্চ তাজিম আনোয়ারের মতিঝিলস্থ প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগভর্তি ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পায়।
এই টাকার উৎস সম্পর্কে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফরিদ এবং তার বন্ধু পরিচয় দানকারী তরুণ দত্ত জানান, এই টাকা ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রাখা হয়েছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ এইভাবে টাকা পাচার করে আসছেন বলে তারা স্বীকার করেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক তাজিম আনোয়ারের বাসায় বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে মর্মে গোপন সংবাদ থাকায় তাদেরকে সাথে করে তাজিম আনোয়ারের সেগুনবাগিচাস্থ ফ্ল্যাটে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত টিম তল্লাশি চালায়। এসময় বাসার বাথরুম থেকে একটি কালো ব্যাগে ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটে তল্লাশিকালে তাজিম আনোয়ারের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এই টাকার উৎস ও বৈধতা সম্পর্কে কোন প্রকার সদুত্তর দিতে পারেন নি। তিনি জানান, তার স্বামী এই টাকা হুন্ডি ব্যবসার জন্য বাসায় এনে রেখেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়, আটককৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ হুন্ডি পাচারকারী চক্রের সদস্য। যারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে এ বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস গোপন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রেখেছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ