সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্পদিনে কম খরচে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুঁজি, ঝুঁকিহীন, সেচ ও সার প্রয়োগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষের প্রতিযোগিতা চলছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কামরাবাদ, সাতপোয়া, পোগলদিঘা, পিংনা ও আওনা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলায় উৎপাদিত ভুট্টা চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা হয় বলে অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উন্নত জাতের ভুট্টার চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ভুট্টা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৩৫ হেক্টর কিন্তু তা ছাড়িয়ে এখন ৬৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা সহজে ভুট্টা চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছে। পোগলদিঘা ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি নিজাম উদ্দিন বলেন, মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে ভুট্টা ঘরে তুলতে পারি। ভুট্টা ক্ষেতে ১-২ বার পানি দিতে হয়। এছাড়া ১ বিঘা জমিতে কম সার ও ১১-১২ হাজার ভুট্টা চারা রোপণ করা যায়। এ বছর তিনি ১০/১২ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। এতে প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো তাই দ্বিগুন লাভের আশা করছেন। একই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি সাজু মিয়া বলেন, অল্পদিনে ভুট্টা ঘড়ে তোলা যায়। ভুট্টা তোলার পর পাট চাষ করা যায়। তবে ফলন আরও ভালো হতো যদি উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় খোঁজখবর নিতেন। প্রতিটি ভুট্টা গাছে ২-৩টি করে মোচা ধরে। গত বছরের চাইতে এবার ভুট্টার দাম বেড়ে কেজি ২২ থেকে ২৩ টাকায় বিক্রি করা যায়। আর এতে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। বর্তমানে উপজেলায় অনেক এলাকায় ভুট্টা তুলতে কৃষক-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় ভুট্টা ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর ভুট্টা চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকদের ভুট্টার দিকে যতœবান হওয়ার জন্য সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় নিয়োজিত আছেন। তাই চলতি বছর ভুট্টা চাষিরা লাভবান হবেন।