তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউপির পাকড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থী ও নাশকতার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি মামুনুর রশিদ মাসুদকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন বইছে। মামুনুর রশিদ মাসুদ মান্ডইল গ্রামের মৃত বেলাল উদ্দীনের পুত্র সে একটি নাশকতা মামলার আসামিও ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে এই নিয়োগ পক্রিয়ার সরেজমিন তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্থানীয়রা চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সোমবার ডাকযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) এবং মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পাকড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে দফায় দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তাদের চাহিদামত দরদাম না উঠায় তা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হয় এতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এলাকার জনমনে চাপাক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এদিকে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল রোববার সকালে পুলিশ পাহারায় বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় এতে ৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করে মাসুদকে নিয়োগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকগণ বলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ও প্রভাববিস্তার করে নাশকতা মামলার আসামিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। অনুসন্ধান করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও তারা দাবি করেন।
সূত্র জানায়, ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে রাজশাহী গভ ঃ ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক, পাকড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠর বরা হয় নিয়োগ বোর্ড। এদিকে ৯ জন আবেদনকারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছে এদের মধ্যে মাসুদের অবস্থান ৫ম হলেও বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকেই নিয়োগ করা হয়েছে বলেও গুঞ্জন বইছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাকড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধিমোতাবেক নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল কবির বলেন, এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই, সব জায়গায় যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় এখানেও সেই ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় মামুনুর রশিদ মাসুদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।