• শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চালু হচ্ছে না ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চালু হচ্ছে না ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বাগেরহাট সদর হাসপাতাল। ভবনের নির্মান কাজ শেষ হলেও গনপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের পত্র চালাচালির কারনে সহসাই চালু হচ্ছে না হাসপাতালটি। অবিলম্বে বহুল কাক্সিক্ষত বাগেরহাট জেলার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চালুর দাবী জানিয়েছেন বাগেরহাটবাসী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন হাসপাতালটি চালু হলে জেলার স্বাস্থ্যসেবার গুণগত পরিবর্তন আসবে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন কোলঘেষা বাগেরহাট জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার কেন্দ্রস্থল সদর হাসপাতাল। ১৯৯৭ সালে ৫০ শয্যা থেকে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৩ সালে  ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
২০১৩ সালের জুন মাসে “হেলথ পপুলেশন এন্ড নিউট্রেশন  সেন্টার ডেভলমেন্ট প্রজেক্ট”এর আওতায় শুরু হয় আধুনিক চিকিৎসার উপযোগী নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। এতে নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা। প্রায় এক বছর আগে ৬ তলা ভবনের মুল কাজ শেষ হয়। তবে ভেতরের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে।
গনপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে ভবন হস্তান্তরের বিষয়টি জুলে আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এই ভবনে রোগীদের জন্য ২৫০ শয্যাসহ আরও থাকবে আইসিইউ বিভাগ, সিটিস্ক্যান ব্যবস্থা, বহির্বিভাগ চিকিৎসা ব্যবস্থা, নিজস্ব বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা। এছাড়া সিঁড়িসহ ১টি লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাজী জাহিদ সরোয়ার টিটু বলেন,  ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হলে উপকৃত হবেন জেলার সাধারণ মানুষ। তবে দ্রুত হাসপাতালটি চালু ও জনবল নিয়োগের বিষয়ে তৎপর হতে হবে। আমরা চাই না আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সাধারন মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হউক।
তবে গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতাটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নতি প্রকল্পের আওতায় কাজ আমরা শেষ করেছি। যা সর্বতভাবে প্রস্তুত রয়েছে। ফেব্রুযারি মাসে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝে নিতে পত্র দিয়েছি। কিন্তু তারা বুঝে নিতে চাচ্ছে না। তাদের দাবী লিংক করিডোরটি তৈরী করার জন্য ২ বার দরপত্র আহবান করেছি। কিন্তু কোন ঠিকাদার অংশ নেননি। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে কোন বাধা হবে না । তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝে না নেয়ায় সরকারী সম্পদ নষ্ট হতে পারে।
বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. অরুন চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, আগের ভবনের সাথে নতুন ভবনের লিংক করিডোর না থাকার কারনে আমরা ভুঝে নিচ্ছি না। দ্রুত এই কাজ শেষ করার জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নতুন এই হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর জনবল কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসহ অন্যান্য চিকিৎকের সংখ্যা। নতুন ভবনে কার্ডিওলোজি বিভাগও চালু হতে পারে। সব মিলিয়ে মানুষ দিন-রাত ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা পাবে। চিকিৎসার মানও বাড়বে নির্মাণ কাজ শেষ করে হাসপাতালটি চালুর পর বাগেরহাট স্বাস্থ্য সেবার মানের আমুল পরিবর্তন হবে। কাউকে আর বাগেরহাট ছেড়ে অন্যত্রে যেতে হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ