তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই রাস্তা দেখিয়ে দু’প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আর এই টাকা উত্তোলনে চেয়ারম্যান অভিনব কৌশল অবলম্বন করে (ইউপি সদস্য) পরের মাথায় কাাঁঠাল ভেঙ্গেছেন তিনি নিজে প্রকল্পের দেখভাল ও অর্থ উত্তোলন করেছেন অথচ প্রকল্প সভাপতি করা হয়েছে নারী সদস্যকে। আবার কৌশলে নারী সদস্যর কাছে থেকে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্পের পুরো টাকা উত্তোলন ও হজম করেছেন চেয়ারম্যান বলেও এলাকায় গুঞ্জন বইছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলে এই অনিয়ম ও দূর্নীতির সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সোমবার ডাকযোগে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী উপ-পরিচালক (দুদুক) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইউপি চেয়ারম্যানের এমন অনিয়ম-দূর্নীতি ও অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, তানোরে বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একটি কাবিটা প্রকল্পের প্রায় দু’লাখ টাকায় কলমা ইউপির বিল্লী নামোপাড়া গ্রামে একটি এএইচবিবি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) নাসরিনকে। এদিকে এই একই রাস্তা নির্মাণ দেখিয়ে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের প্রায় দু’লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এখানেও সভাপতি করা হয়েছে নাসরিনকে। তবে এই কাজ দেখভাল ও প্রকল্পের পুরো অর্থ ইউপি চেয়ারম্যান নিজে করেছে বলেও এলাকায় প্রচার আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্পের টাকায় নিজের পকেট ভারী করেছে আর চালাকি করে নারী সদস্যকে প্রকল্প সভাপতি করেছেন যাতে কখনো কোনো আইনি জটিলতা দেখা দিলে তার কোনো কিছু না হয় দায় পড়ে সভাপতির উপর। স্থানীয়রা এ ঘটনাকে পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গা বলে অবহিত করেছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় কলমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে নারী সদস্য নাসরিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ শওকাত আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনিও রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।