কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
অভাবের সংসারে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয় রেবেকা সুলতানা । এ নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। দুহাতের ও পায়ের আঙ্গুল ছোট বড়, কিন্তু ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম মেয়েটিকে দমাতে পারেনি। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এখন ওই গ্রামের দৃষ্টান্ত।
রেবেকা সুলতানা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য কাশিপুর গ্রামের একরামুল হক ও মোশের্দা বেগমের মেয়ে। কাশিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাত্র দুই শতাংশ বাড়ী চালায় বসবাস করে রেবেকার বাবা দিনমজুরের কাজ করে কোন ভাবে সংসার চালিয়ে অতিকষ্ঠে লেখাপড়র খরচ বহন করত । রেবেকার এক ভাই প্রাথমিকে পড়ে। মা মোর্শেদা বেগম দর্জির কাজ করে সংসাসের খরচে স্বামীকে মাঝে মাঝে সাহায্য করতেন।
বেকেরা সুতলতানা বলেন,হাত দিয়ে লিখতে তার আগে অনেক সমস্যা হত এখন আর বেশী সমস্যা হয় না । তার জন্য তার মা অনেক কষ্ট করেছেন। পড়ালেখা শিখে ভাল শিক্ষক হতে চায় সে। কাশিপুর বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক জাহেদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী হলেও রেবেকা সুলতানা কখনো ক্লাস ফাঁকি দিত না। তার হাতের লেখা অনেকের চেয়ে সুন্দর। সে পঞ্চম ও জিপিএ ৫ ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল।