রংপুর অফিস॥
গ্রমীণ মৌসুমি কৃষি শ্রমিকের শতকরা ৩০ ভাগ মহিলা আলু উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে জড়িত। বিশ্বে আলু উৎপাদনে ৮ম। দেশের প্রায় ৪ লাখ কৃষক আলু আবাদের ওপর নির্ভরশীল । ভাত এবং গমের পরই আলু আমাদের নিত্য ভোগ্য পণ্য। বিগত কয়েক বছর থেকে আলু রপ্তানি আয়ের একটি উৎস হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কৃষি বিপনন কেন্দ্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সুষ্ঠু বিপন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আলুচাষিদের উপযুক্ত মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করণ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মাহা পরিচালক মাহাবুব আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আলু চাষ করে কৃষক ৪ মাস অহিমায়িত (মডেল ঘর) ঘরে রেখে অধিক লাভবান হচ্ছে । বাংলাদেশের ৪টি বিভাগের ১১টি জেলার ৪০টি উপজেলায় একটি করে মডেল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে । এই মডেল ঘরে আলু রেখে কৃষক কৃষানিরা লাভবান হয় । তিনি বলেন মডের ঘরে আলু সংরক্ষণ করলে হিমায়িত ঘরের(কোল্ড স্টেরেজ ) ছেয়ে খরচ অনেক কম । এই আলুর সাদে ও গুণে মানে ভাল থাকে ।
বসত বাড়িতে আলু সংরক্ষণ ,প্রক্রিয়াজাত করণ ও বিপন্ন কার্যক্রম কর্মসূচি কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের রংপুরের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের যুগ্ম পরিচালক আ.ফ.ম সাইফুল ইসলাম ও রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.সরওয়ারুল হক।সেমিনারে অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন নীলফামারীর আলু চাষী মোঃ কামরুজ্জামান, দিনাজপুরের আলু চাষী মোঃ আব্দুল বাতেন, রাজশাহীর আলুচাষী পান্নালি আহাদ, মিঠাপুকুরের মডেল ঘরে সভাপতি আব্দুর রউফ, তারাগজ্ঞের আলু ব্যবসায়ী খাজা আহম্মেদ প্রমূখ ।
বসতবাড়ির মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ,প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ৪ মাস আলু রাখার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃষকরা মডেল ঘরে আলু রেখে লাভবান হয়েছেন। তারা মডেল ঘরে আলু সরক্ষনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।