টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা রাণী দাস হত্যা মামলার রহস্য দীর্ঘ নয় মাসেও উদঘাটিত হয়নি। শিক্ষক দম্পতি খুনের রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের নির্দেশে রোববার(১৩ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহকে পরিবর্তন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউর রহমানকে প্রদান করা হয়েছে।
নিহত দম্পতির ছেলে নির্মল কুমার দাস প্রশ্ন করেন, আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী কে বা কারা? কী কারণে তাদের মত নিরীহ, পরোপকারী, শিক্ষককে হত্যা করা হলো? বিগত নয় মাসেও তা জানতে পারলাম না কেন? তিনি আরো বলেন, অতিদ্রুত আমার বাবা-মায়ের প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
এই মামলার বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রাশেদ রহমান জানান, তারা এই হত্যাকান্ডের বিচার চান। যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। অযথা যেন নিরীহ গ্রামবাসী হয়রানি না হয় পুলিশকে সেদিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে। এ হত্যাকান্ডের প্রায় এক বছর হতে চলেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত এ মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়নি। ফলে নিরীহ গ্রামবাসী ভীত-আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।
নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউর রহমান জানান, আমার ওপর আস্থা রেখে এ জোড়া খুনের তদন্তভার অর্পন করা হয়েছে। তিনি এ মামলার তদন্ত কাজ সঠিকভাবে শেষ করতে এবং খুনীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৬ জুলাই(বুধবার) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস (৬৮) ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা রাণী দাস (৫৯) নিজ বাড়িতে খুন হন। তাদের লাশ নির্মাণাধীন দালানের সেফটি ট্যাঙ্কের কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়।