কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। উপজেলার দাসিয়ারছড়া কামালপুর মইনুল হক নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী । সে চন্দ্রখানা বৈরাগীটারী গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে। অপর জন, কবির মামুদ গ্রামের আশরাফুল হকের মেয়ে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। আহত ওই ছাত্রীদ্বয়কে তার পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ধর্ষণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রখানা বৈরাগীটারী গ্রামের গাজীউল হক ওরফে কানু ভাটিয়ার ছেলে মোঃ রিজু মিয়া দীর্ঘদিন থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হলে শনিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাড়ীর উঠানে গেলে তার মুখ চেপে ধরে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষিতা ছাত্রীর মা হনুফ বেগম জানান, আমার মেয়ের ধর্ষণকারী রিজুর উপযুক্ত শাস্তি চাই। যেন আর কোন মেয়ের এমন ঘটনা না ঘটে।
অপর দিকে, ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়েকে লালমনিরহাট সদরের উত্তর বরুয়া কুলাঘাট গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মাইদুল ইসলাম (২৭) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত রোববার তার দুইবন্ধু জয় (২৬) ও রফিকুলের (২০) সহযোগিতায় তার দঃুসম্পর্কের বোনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে মুমুর্ষ অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইন্চার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যটির ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে।