তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সরকারে যেমন আর কখনো রাজাকার-সন্ত্রাসীদের স্থান দেয়া যাবে না, সরকারি দফতরগুলোতেও তেমনি জঙ্গি-রাজাকার-অনুচরদের স্থান হবেনা।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্র নাথ হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যসচিব আবদুল মালেক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন।
তথ্যমন্ত্রী বক্তৃতায় দেশের চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করেন এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পথে একদিকে যেমন জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম চালিয়েছেন, আরেকদিকে গড়েছেন শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলন। অপূর্ব দূরদৃষ্টিতে তিনি ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠা করে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের দিগন্ত উন্মোচন করেন।’
জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাও সংস্কৃতি চর্চায় পরম যত্মবান উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশের ফিল্ম আর্কাইভটি এখন বিশ্বমানের। আর ২০২১ সালের বিশ্ব ফিল্ম আর্কাইভ কংগ্রেস ঢাকায় আয়োজনের সম্মান দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘যাদের ইতিহাস নেই, তারাই ইতিহাস ধ্বংস করে। আর শেখ হাসিনা ইতিহাসের পক্ষে তাই আর্কাইভ গড়েছেন। কারণ আর্কাইভ সঠিক ইতিহাস রক্ষা করে।’
চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে অভিনেত্রী রোজিনা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, গবেষক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, দিলারা প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আবুয়াল হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিউটের মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনসহ কর্মকর্তাবৃন্দ সভাশেষে আর্কাইভের ৪০ বছর উপলক্ষে অনুপম হায়াতের প্রবন্ধের ওপর সেমিনারে অংশ নেন। বাসস