• শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন বিরোধী দলগুলোর জন্য আত্মঘাতী: রিজভী

আপডেটঃ : সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

‘খুলনায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে?’- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। আসলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রমাণ করলেন তার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন। পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনও হবে খুলনা মডেলে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি নিজেই প্রমাণ করলেন তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা হবে বিরোধী দলগুলোর জন্য আত্মঘাতী।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্মে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন। কারণ নতুন মডেলের ‘চমৎকার’ খুলনা সিটির অর্ধেকেরও বেশি  ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি, কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার। যে নির্বাচনের পর লজ্জায় আজও নির্বাচন কমিশন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি। যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। যে নির্বাচনে বল প্রয়োগের মাধ্যমে জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, মরা মানুষ ভোট দিতে পারে, সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে সিল মারতে পারে সে নির্বাচন নিয়ে সরকারের উচ্ছ্সিত প্রশংসায় এটাই প্রমাণিত হলো, ভোট ডাকাতির হুকুমদাতা সরকারের শীর্ষ নেতারা।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনে সরকারের পছন্দের লোকজনদের ঢুকিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে যাতে সুষ্ঠু ভোট না হয়। আসলে ইসি খুলনাতে সরকারে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। ইসি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বর্ণালী বাহিনী নয় বরং এখন তারা ‘খাঁচায় পোরা তোতা পাখি’।
রিজভী বলেন,ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগেও তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে ভীত করার জন্যই রাজীব ও রাজের ওপর এ নির্যাতন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ