দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আন্দোলন কখনও বলে কয়ে হয় না। আপনারা প্রস্তুত থাকুন, আন্দোলন হবে। অচিরেই আন্দোলন হবে। আর সে আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবেই।
তিনি বলেন, এরশাদ নিজেও ভাবে নাই তার পতন হবে। কিন্তু সেও অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো। এ সরকারও সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। শুধু সময়ের ব্যাপার।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য হলো আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা। আর তার জন্যই আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখতে অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার। কোনও প্রহসনের নির্বাচন আর এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না এবং হতেও দেবে না। আগামী নিবার্চন সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক করতে বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে। তাঁকে ছাড়া এ দেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি মেনে না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। অথচ তিনি পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটা হল স্বৈরাচারী সরকারের ধরন। এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
নির্বাচন নিয়ে সরকার বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আপনারা সরকারের সেই সমস্ত বাজে গুজবে কান দেবেন না। কারণ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই আমরা আগামী নির্বাচনে যাবো। এদেশে সুষ্ঠু নিবাচন হবে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতনও ঘটবে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারত নাক গলাবে না’ ভারতের এমন কথা অনেক ভালো লেগেছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছিলেন। এবার জাতীয় নির্বাচনে ভারত কোনো পক্ষ নেবে না- এ জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এইচ টি ইমাম সাহেব বলেছেন, দিল্লী সরকার নাকি বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছে না। প্রথম কথা হচ্ছে, দিল্লী সরকার বাংলাদেশের কোন দল সম্পর্কে কি ধরনের মত পোষণ করে এটা উনি জানলেন কীভাবে। তাছাড়া এইচ টি ইমাম সাহেব ভারত সরকারের কোন পদে আছেন যে, ভারত সরকার কোন দল সম্পর্কে কী ধরনের মত পোষণ করে তা উনি বলতে পারেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ জুলফাক এর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমূখ।