কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ ২০ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো, মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীসহ কয়েকজন বিচারক এই শিক্ষার্থীদের পাঁচটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, শাহবাগ থানায় দায়ের করা ২০ (৪) ১৮ নম্বর মামলায় জামিন পেয়েছেন মাসুদ আলম মাসুদ, আবু সাঈদ ফজলে রাব্বী, রাকিবুল হাসান, রাশেদ খান, আতিকুর রহমান ও সাইদুর রহমান।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা ২২ ( ৪) ১৮ নম্বর মামলায় জামিন পেয়েছেন সোহেল ইসলাম, মাসুদ সরকার, জসিম উদ্দীন, আবু সাঈদ, আলী হোসেন, রাকিবুল হাসান, মশিউর রহমান, জসিম উদ্দিন আকাশ ও মাসুদ আলম মাসুদ।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা ২৩ (৪) ১৮ নম্বর মামলায় জামিন পেয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন, ফারুক হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মাসুদ আলম মাসুদ, রাকিবুল হাসান, আবু সাঈদ, ফজলে রাব্বী।
এছাড়া জামিন পেয়েছেন শাহবাগ থানার তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ১ (৭) ১৮ নম্বর মামলার অভিযুক্ত রাশেদ খান।
রমনা থানায় দায়ের করা ২১ (৪) ১৮ মামলায় জামিন পেয়েছেন ইউসুফ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম তৌহিদ, আলমগীর হোসেন, মাহবুবুর রহমান আরমান ও সাখাওয়াত। এছাড়া রাশেদসহ ২২ জন শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত। বাকি পাঁচজন রমনা থানার মামলায় অভিযুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে চার মামলায় আসামিদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়াও কোটা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করে।