জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া রায়কে ফরমায়েশি রায় দাবি করে প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে দূরে রাখতেই এই রায় দেয়া হয়েছে। সাজা বাড়ানোর রায় বিএনপিকে স্তম্ভিত করেছে। এ থেকেই বোঝা যায় সংলাপের আহ্বান কতটুকু আন্তরিক, এই সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে— এ সম্পর্কে জনমনে প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা অবশ্যই আছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ রয়েছে। এই সংলাপে আওয়ামী লীগ কতটুকু আন্তরিক। সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা জনগণ বুঝতে পারছে। সংলাপে বিএনপির অবস্থান কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবস্থান হবে ৭ দফা দাবি। একটাই অবস্থান। এর বাইরে কোনো অবস্থান নেই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিকপাল খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। এই রায় আমাদের পুরোপুরি স্তম্ভিত করেছে। বিষ্মিত করেছে।
রায়কে নজিবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অস্বাভাবিক এই রায়ে সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করাই সরকারের উদ্দেশ। এতে একটা কথা পরিষ্কার হয় সরকার অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে কোন মতেই আগ্রহী নয়। দেশনেত্রী ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়।রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায় আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। জনগণই এর বিচার করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বহাল থাকবে। সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া ৩১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ১ নভেম্বর গণঅনশন এবং ২ নভেম্বর জনসভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।