প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলো, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। বাকিরা কারাগারে আছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিল জিয়া। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে আক্রান্ত হন দীপন। বদ্ধ ঘরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান মামলা করেন। দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে।
অভিযোগপত্রে ১১ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরা হলেন—আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক। মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আগামী ১৮ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।