মেয়ের বিয়ের জন্য তিল তিল করে ১৮ লাখ রুপি জমিয়েছিলেন মা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বেশি। সেই টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে, এ জন্য ব্যাংকের লকারেও রেখে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে উইপোকা! ঘটনা সামনে আসার পরই মাথায় বাজ পড়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সেই মা অলকা পাঠকের।
ব্যাংক কর্র্তৃপক্ষেরও মাথায় হাত, কী করে ঘটল এমন ঘটনা? কলকাতার সংবাদমাধ্যম প্রতিদিনের সংবাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের অলকা পাঠক নামে এক নারী গত বছরের অক্টোবরে তার সারা জীবনের সঞ্চয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রেখে এসেছিলেন। টাকার সঙ্গে গয়নাও রেখেছিলেন লকারে। সময়মতো ওই টাকা এবং গয়না আনতে পারবেন এমনই ভরসা ছিল ওই নারীর।
কিন্তু বছর ঘুরতেই নিয়ম অনুযায়ী কেওয়াইসি আপডেট করার জন্য ওই নারীকে ব্যাংক থেকে ডেকে পাঠানো হয়। গত সোমবার ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা দিতে যান অলকা। এরপর নিজের গচ্ছিত সম্পদ ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য লকার খোলেন। কিন্তু টাকার বান্ডিল দেখতে পাননি তিনি। দেখতে পান লকারের ভেতর কিলবিল করছে উইপোকা। তখন অলকার আর বুঝতে বাকি থাকেনি, কী সর্বনাশ হয়ে গেছে!
অলকা জানান, বড় মেয়ের বিয়ের সময় বেশ কিছু টাকা পেয়েছিলেন। এ ছাড়া একটা ছোট ব্যবসা রয়েছে তার। পাশপাশি গৃহশিক্ষকতাও করেন তিনি। সেখান থেকে অর্জিত টাকাও ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য জমাচ্ছিলেন। অলকার দাবি, লকারে যে টাকা রাখা যায় না, সেটা তিনি জানতেন না। ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন, ঊধ্বর্তন কর্র্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।