সম্প্রতি সম্পর্কের তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের মধ্যে। এরই মধ্যে ইউক্রেনকে নতুন করে আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ না করার ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করার পর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় পোল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
এর মাঝেই গত বছরের নভেম্বরে পোল্যান্ডে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল তা ইউক্রেন ছুঁড়েছে বলে দাবি করলো ওয়াশ। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে তদন্ত শেষের পর পোল্যান্ড এই অভিযোগ করেছে। এর মধ্যদিয়ে দু’ দেশের তিক্ততা চরম আকার ধারণ করল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত নভেম্বরে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুঁড়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু এ নিয়ে তদন্তে ইউক্রেন একেবারেই সহায়তা করেনি বলে ওয়ারশ দাবি করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পোল্যান্ডের দুই নাগরিক নিহত হয়।
রাশিয়া টুডে জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী জিবিগ্নিউ জিওব্রো পোল্যান্ডের লুবলিন শহরে এক সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে তিনি বলেন, তদন্ত থেকে চূড়ান্তভাবে জানা গেছে- ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছিল ইউক্রেনের। এটি সম্ভবত সোভিয়েত আমলে রুশ নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র। তবে, এটি যে ইউক্রেনের সেনারা ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত নভেম্বরে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাশিয়ার ওপর দায় চাপাতে চেয়েছিল ইউক্রেন। এমনকি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ চালানোর জন্য চাপও দিচ্ছিল প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার। সূত্র: ফক্স নিউজ, কিয়েভ পোস্ট, ডেইল এক্সপ্রেস