হামাসের হামলা প্রতিরোধে এবার ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার থেকেই সামরিক সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরি ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলের কাছাকাছি পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলকে সমর্থনে সমরাস্ত্রও দেওয়া হবে। এই অঞ্চলে যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের প্রতি এই সমর্থনকে “আগ্রাসন” বলে নিন্দা করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের দ্বারা শুরু করা নজিরবিহীন হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।
জাতিসংঘে এক বিবৃতিতে ইরান জানায়, “আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি অটল সমর্থনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছি, তবে হামাসের হামলা এবং ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়ার সাথে আমরা জড়িত নই কারণ এটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের নেওয়া হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ফিলিস্তিনের নেয়া গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপগুলি অবৈধ ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা সংঘটিত সাত দশকের নিপীড়নমূলক দখলদারিত্ব এবং জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গঠন।”
যদিও হামাস এর আগে বলেছিল যে ইরানের সমর্থন তাদের শনিবার ভোরে ইসরায়েলে হামলা চালাতে সহায়তা করেছিল।
তবে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবার সিএনএনকে জানান যে, হামাসের হামলার পেছনে ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খুঁজে পায়নি মার্কিন সরকার।
শুরু থেকেই ইরান হামাসকে সমর্থন দিয়েছে এবং তার যোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। যার কারণে গোষ্ঠীটি ইরানের সহায়তার ফলেই সমন্বিত এই আক্রমণ চালানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে।