নতুন বছরের প্রথম ঘণ্টায় রোববার দিবাগত রাতে ইউক্রেনে ৯০টি ড্রোন হামলা করেছে রাশিয়া। ইরানের কামিকাজি ড্রোনের মতোই এসব ড্রোন এসে আঘাত হানে ইউক্রেনে। সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। এতে ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে ওডেসায় ৮৭টি ড্রোনের হামলা হয়। এই হামলার পর ১৫ বছর বয়সী ওই ছেলে নিহত হয় এবং সাতজন আহত হয়েছে। এই হামলায় বন্দর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
এ ছাড়া পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভে রুশ ড্রোনের আঘাতে একটি জাদুঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই হামলার জবাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকায় হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে চারজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। রাশিয়া বলছে, এই হামলায় সাংবাদিকও আহত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাশিয়া। এর একদিন পরই রাশিয়ার ভেতরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর চালানো ওই শক্তিশালী হামলায় অন্তত ৪০ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। রুশ হামলায় ইউক্রেনের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ ও বেসামরিক স্থাপণা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকটি শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ইউক্রেনের লুহানস্ক, সামি ও খারকিভ অঞ্চলের পাশে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলটি অবস্থিত। বেলেগোরোদের সঙ্গে লাগোয়া ইউক্রেনীয় ওই অঞ্চলগুলোতে এর আগে একাধিকবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
বেলগোরোদ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অঞ্চলটি ইউক্রেনের কাছে হওয়ায় এটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রুশ বার্তা সংস্থা রিয়াকে বলে, ব্রিটেন ও আমেরিকা ইউক্রেনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে প্ররোচিত করেছে। এর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকেও অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী করতে হবে।