• রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
১৯ টাকা দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের পশ্চিমাদের উদ্বেগ বারিয়ে নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলো ইরান রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ চাষিদের মন্ত্রীত্ব হারানো টিউলিপের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অপরাধ সংস্থা উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণ হলো চাঁদাবাজি: অর্থ উপদেষ্টা ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্ব রাস্তায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট নারীরা: উমামা ফাতেমা ঢাবিতে প্রথমবারের মতো হলো হিজাব র‍্যালি যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান: তারেক রহমান

নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

লিবিয়া থেকে বাংলাদেশি যুবকের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে স্বজনদের কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে প্রতারক চক্র।

ভিডিওতে দেখা যায়, দুইমাস আগে লিবিয়া যাওয়া রুবেল হোসেন নামের এক যুবককে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে, মুখ কাপড় গুজিয়ে দিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম পেটাচ্ছিলেন একব্যক্তি।

এমন নির্মম নির্যাতনের ভিডিও চিত্র বাংলাদেশে রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের মোবাইলে পাঠানো হয়।

চার দিন আগে ওই ভিডিওতে পাঠিয়ে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য আক্তারুনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

রুবেল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আমেশ্বপুর নিশিপাড়া গ্রামে। রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তেমারিয়া গ্রামে। রুবেলকে লিবিয়ায় পাঠানো দালাল মিজানুর রহমানের বাড়িও তেমারিয়া গ্রামে।

গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, আক্তারুন তাঁর ভগ্নিপতি রুবেলকে গ্রামের দালাল মিজানুর ও তাঁর বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর রুবেল হোসেন নিজেই দালাল মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রুবেল তাঁর জমি-জমা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দালাল মিজানুর রহমানের স্বজনদের হাতে দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুবেল লিবিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে রুবেল হোসেনকে নির্যাতন করার ভিডিও আক্তারুনের মোবাইলে পাঠানো হয়।

লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুন বলেন, আমি আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেল হোসনকে দালাল মিজানুর ও তাঁর বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। গত জানুয়ারি মাসে দালাল মিজানুর আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, দালাল মিজানুর রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দশ দিন আগে রুবেলকে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তাঁরা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছেন। এঘটনার পর লিবিয়ায় থাকা দালাল মিজানুরের কাছে ফোন করে তাঁকে পাইনি। ঘটনার পর থেকে মিজানুরের সঙ্গ যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফজিলাতুন নেছা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছেন। এই ভয়ে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ