• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শাহবাগ-চানখারপুল অবরোধের পর এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অবরোধ করেন তারা।

জানা গেছে, এদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দৌড়ে এসে চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দিচ্ছেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে আজ শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করেছেন। তাছাড়া সুফিয়া কামাল হলের মেয়েরা চানখারপুল অবরোধ করেছেন। ঢাকা কলেজ এবং ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট-সায়েন্সল্যাব রোড অবরোধ করেছেন। তাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত এই অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এ সময় আটকে পড়া যাত্রী এবং বাস চালকদের উদ্দেশে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যেসব যাত্রী, গাড়িচালক ভাইয়েরা, ভেতর বসে আছেন, আপনার কিংবা আপনাদের সন্তানের জন্যই আমাদের আন্দোলন। যাদের কোনো কোটা নেই, তারা যেন পড়ালেখা করে চাকরি পায়, তারা যেন বঞ্চিত না হয় সেজন্যই আমাদের এ আন্দোলন। দয়া করে আমাদের সহযোগিতা করুন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আজকের সামান্য কষ্ট সহ্য করুন।’

এদিকে, ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে একটি মিছিল শুরু হয়। এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে যেয়ে শেষ হয়। এখন তারা সেখানে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ