সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ মিঠা পানির মাছের তুলনায় বেশি। আমাদের দেশে সারা বছরই বাজারে বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদও ভিন্ন হয়। কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে সব সামুদ্রিক মাছই অনন্য।
মাছ একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে এর ভূমিকা রয়েছে। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড; যা হৃদরোগ প্রতিরোধ ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ আয়োডিন ও জিংকের অন্যতম উৎস, যা থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুব উপকারী।
বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী। চিকিত্সক ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, গোশতের চেয়ে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার উপকারিতা বেশি। বস্তুত সামুদ্রিক মাছ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় এক বিস্ময়কর উপাদান। যারা সামুদ্রিক মাছ বেশি খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কম থাকে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই কমে যাওয়ার হার ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর সিলোনিয়াম, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরে কাজ করে ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।