আজকের ছোট্ট শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একটি শিশু জন্ম গ্রহণের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করলেই তার পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ছয় মাস বয়সের পর থেকেই তার প্রয়োজন হয় বাড়তি খাবারের। আজকাল বেশিরভাগ বাবা মা অভিযোগ করে থাকেন তাদের শিশুদের খাবারে অরুচি নিয়ে।
এতে বাবা মা উৎকণ্ঠায় ভোগেন। কারণ সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার না খেলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সাধারণত কিছু কিছু রোগব্যাধির কারণেও শিশুর অরুচি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা জটিল কিছু নয়।
এছাড়া শিশুর প্রতি বাবা-মা’র খেয়াল কমে গেলেও শিশু খাওয়া কমিয়ে দিতে পারে। তাই হাজার ব্যস্ততার মাঝেও শিশুর মা-বাবার উচিত তাকে ঠিকমত সময় দেওয়া। মা-বাবার উচিত শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন, উচ্চতা এবং মানসিক বিকাশ অন্য শিশুদের মতো হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া আরো কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা যেমন—শিশুদের সাথে খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা। প্রতিটি খাবারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় বিরতি রাখা। শিশুকে চকলেট, জুস, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবার না দেওয়া। শিশুকে প্রতিদিন একই খাবার না দেওয়া। যেমন- প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ না দিয়ে তাকে ডিম দিয়ে তৈরি পুডিং কিংবা স্যুপ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। শিশুর খাবারে রঙিন শাক-সবজি ব্যবহার করা।
এতে শিশু আকৃষ্ট হবে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের সুষম অনুপাতে শিশুকে খাবার দেওয়া। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে একই সময় শিশুকে খেতে অভ্যস্ত করে তোলা। শিশুর বয়স অনুযায়ী যদি ওজন এবং উচ্চতা বৃদ্ধি না পায় কিংবা অতিরিক্ত ওজন হয় তা হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখক: চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ স্কিন সেন্টার