সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় শুষ্ক মৌসুমে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে মোটরসাইকেল।
তাহিরপুর-মধ্যনগড়-ধর্মপাশা ৪০ কিলোমিটার সড়কে চলাচল করতে ৪টি ছোট নদী নৌকা ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাড়ি দিতে হয় চালক ও যাত্রীদের। আর এ পথ যেতে খরচ হচ্ছে ১৬০ টাকা। খেয়াঘাট পারাপারের ভাড়ার তালিকা ঘাটে বড় অক্ষরে সাইনবোর্ডে লিখে রাখার নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছে না। ভাড়া আদায় করছে ইচ্ছেমতো।
জানা যায়, সুলেমানপুর বাজারের পূর্ব দিকে ১টি বাঁশের চাটাই ও বাজার পাড়ি দিয়ে পশ্চিমে দিকে পাঠলাই নদীতে কাইত কান্দা, মাছিমপুর ও আটাইশা খেয়াঘাট। এই ৪টি খেয়াঘাটে খেয়ায় পার হতে মোটরসাইকেল ১৬০ টাকা টোল দিতে হয়। কিন্তু জেলা ও উপজেলা নির্ধারিত ভাড়া জনপ্রতি ১ টাকা, মোটরসাইকেল ৫ টাকা, গরু-ঘোড়া ১০ টাকা, ২০ কেজির মালামালের উপরে ভাড়া আদায়ের নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছে না। সরকারিভাবে তদারকি না করার কারণে ঘাট ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।
তাহিরপুর-মধ্যনগর-ধর্মপাশা সড়কে চলাচলকারী ড্রাইভার ও যাত্রীগণ অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বেশি লাভের আশায় বর্তমানে এই ইজারা প্রথা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও এলাকার প্রভাবশালী লোকজন এতে যোগ হচ্ছে। এতে করে তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কম টাকায় খেয়াঘাট বেশি মূল্যে ইজারা নিচ্ছে। একারণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ইজারাদাররা। ভুক্তভোগীদের মতে, খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্ণেন্দ্র দেব জানান, প্রতিটি খেয়াঘাটে নির্ধারিত পরিবহনের ভাড়ার হার সাইনবোর্ডে লিখে টানানো হলে খেয়াঘাটে দায়িত্বে থাকা লোকজন ভাড়া বেশি নিতে পারবে না। সরেজমিন পরিদর্শন করে সকল খেয়াঘাটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।