• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ১৬৫০ নিয়োগ

আপডেটঃ : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এবারের প্রক্রিয়ায় শূন্য পদে অস্থায়ীভাবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে এক হাজার ৬৫০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পদটিতে নারী/পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আবেদনের কার্যক্রম, চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত। বিস্তারিত লিখেছেন মাহবুব শরীফ

 

 

আবেদনের যোগ্যতা

 

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উপসহকারী কৃষি কর্মকতা পদে এক হাজার ৬’শ ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদটিতে আবেদন করতে হলে আগ্রহী প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে কৃষিবিজ্ঞানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা উত্তীর্ণ হতে হবে ।

 

বয়সসীমা

 

উল্লিখিত পদটিতে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা অথবা শারিরীক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীগণের জন্য বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিল যোগ্য। বয়সের ক্ষেত্রে কোন প্রকার এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

বেতনসীমা

 

অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বেতন দেওয়া হবে ১২,৫০০ থেকে ৩০,২৩০ টাকা।

 

যারা আবেদন করতে পারবেন

 

শেরপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, রাজবাড়ী জেলা ছাড়া সকল জেলার প্রার্থীরা এবারের প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন প্রক্রিয়া

 

আবেদনের জন্য নির্ধারিত মডেল ফরম daesaao.teletalk.com.bd- এই ঠিকানা অথবা www.dae.gov.bd- এই ঠিকানা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। প্রার্থীকে টেলিটক এর ওয়েবসাইট daesaao.teletalk.com.bd- অথবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের www.dae.gov.bd- মাধ্যমে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে Online registration কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।  নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোটাসহ সরকার কর্তৃক প্রচলিত অন্যান্য সকল প্রকার কোটা বিধি অনুযায়ী সকল নিয়ম অনুসরণ করা হবে। আদেনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ ও নিজ জেলাসহ অন্যান্য সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট সনদে যেভাবে লেখা রয়েছে অনলাইন আবেদনপত্রে এবং পরবর্তীতে হুবহু সেভাবেই লিখতে হবে। মুদ্রিত বা হস্তলিখিত কোন প্রকার আবেদনপত্র বা কাগজপত্র ডাকযোগে বা অন্য কোন উপায়ে প্রেরণ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। অনলাইনে আবেদনকারীদের নিকট পরবর্তীতে টেলিটক বাংলাদেশ লি. হতে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে নিয়োগের যাবতীয় তথ্যাদি সময় সময় হালনাগাদ করা হবে।

 

যে কাগজপত্র লাগবে

 

প্রাথমিক বাছাই শেষে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় সকল প্রকার সনদের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে এবং সকল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে। সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ সংক্রান্ত কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। জেলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণের সনদ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশনের প্রদত্ত সনদ দাখিল করতে হবে।

 

যে বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি দরকার

 

বাংলা অংশে ব্যাকরণ এবং সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সাহিত্য অংশে বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকের জীবনী, সাহিত্যকর্ম, বিভিন্ন গ্রন্থের নাম, উপন্যাস বা গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের নাম, বিখ্যাত পঙক্তিমালাসহ সাহিত্যের অন্যান্য অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা পাঠ্য বই থেকে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে। ব্যাকরণ অংশে বাগধারা, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, বচন, সমাস, উপসর্গ, এককথায় প্রকাশ, সন্ধিবিচ্ছেদ, প্রবাদ-প্রবচন, সমার্থক, বিপরীতার্থক ও পারিভাষিক শব্দ, পদ, সমোচ্চারিত শব্দ, বিপরীত শব্দ,  কারক, বিভক্তি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে রচনা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ থাকে লিখিত পরীক্ষায়। বোর্ড প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, ভাষা ও সাহিত্য এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের বই প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

 

 

ইংরেজি

 

গ্রামার থেকে কয়েকটি প্রশ্ন থাকতে পারে। রচনামূলক অংশে সাধারণত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইংরেজি রচনা আসতে পারে। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ ও লেটার রাইটিংও থাকে। ইংরেজিতে বেসিক ভালো হলে সহজেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর করা যায়। বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর গ্রামার বই পাওয়া যায়। সেসব বই ছাড়াও নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য ইংলিশ গ্রামার বইটি বেশ কাজের।

 

 

গণিত

 

মৌখিক ও লিখিত উভয় পরীক্ষায় পাটিগণিত ও বীজগণিত থেকে প্রশ্ন আসে। পাটিগণিতে শতকরা, সুদকষা, অনুপাত-সমানুপাত, লসাগু, গসাগুসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বীজগণিতে থাকে উত্পাদক নির্ণয়, সমীকরণ, মূলদ, অমূলদ, সূচক ও লগারিদমের সূত্রের প্রয়োগ বিষয়ে। শতকরা, লাভ-ক্ষতি, গাণিতিক যুক্তি, সুদকষা ও ঐক্যিক নিয়ম থেকে এমসিকিউ ও রচনামূলকে বেশি প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি, পরিমিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম-দশম শ্রেণির পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি বই পড়তে হবে। জিআরই ম্যাথ সহায়ক হবে।

 

 

সাধারণ জ্ঞান

 

বিভিন্ন সংস্থা ও জোট, বিভিন্ন দেশ, মুদ্রা, বিশ্বরাজনীতি, দিবস, সম্মেলন, পুরস্কার, সম্মাননা, খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক আইন, বিচারব্যবস্থাসহ সাম্প্রতিক সময়ের বিশ্বের নানা ঘটনাপঞ্জি থেকে প্রশ্ন আসে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে। এছাড়াও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সভ্যতার ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, কৃষি, জিডিপি, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, সরকার, রাজনীতি ও বিচারব্যবস্থাসহ সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ